মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৫
মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৫

পালিয়ে বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিল মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

 

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শূন্যরেখা পেরিয়ে তুমব্রু ক্যাম্পে আশ্রয় নেন তারা।

সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের লাগাতার গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা রূপলা ধর বলেন, ‘আমাদের পাশের এলাকার এক ঘরের চালে বিস্ফোরিত রকেট লান্সার এসে পড়েছে শুনেছি। অনেকের উঠানে গুলিও এসে পড়ছে। এ ঘটনায় ঘরের বাহিরে যেতেও ভয় হচ্ছে।’

তুমব্রু কোনার পাড়ার বাসিন্দা ভুলু বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে মর্টারশেলের বিস্ফোরিত অংশ আমার ঘরের চাল ভেদ করে ভেতরে পড়েছে। আমরা খুব ভয়ে আছি, ঘরেও নিরাপদে থাকতে পারছি না।’

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘ভোর থেকে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এলাকাবাসীদের বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

আরও পড়ুন: শার্শা সিমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান বলেন, সকাল থেকে মিয়ানমারের সীমান্তে গোলাগুলি বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রবিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি।

আহতরা হলেনপ্রবীর চন্দ্র ধর ও একজন নারী (নামপরিচয় জানা যায়নি)। তারা দুজনেই হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া।

 

এসএ/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More