শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটলো বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে। দেবী দুর্গার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হৃদয়জুড়ে বেজে উঠেছে আবেগ ও আনন্দের সুর। পূজা–অর্চনা ও মহাবিজয়ার শুভাশীষ গ্রহণ শেষে সিঁদুর খেলায় মাতলেন নারীরা।
প্রথা অনুসারে বিবাহিত নারীরা দেবীর চরণে সিঁদুর অর্পণ করে তা নিজেদের সিঁথিতে পরিধান করেন এবং একে অপরের কপাল ও মুখে সিঁদুর লাগিয়ে দেন। বিশ্বাস করা হয়, এ আচার তাদের স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পারিবারিক মঙ্গল বয়ে আনে। উৎসবের শেষ দিনে নারীদের হাসি, আনন্দ, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে প্রতিটি পূজামণ্ডপ।
দিনাজপুরে ১ হাজার ২৫৯টি পূজামণ্ডপে মহাসমারোহে পালিত হয় সিঁদুর খেলা। পূজা–অর্চনা শেষে শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবীর চরণে সিঁদুর নিবেদন করেন নারীরা। এরপর একে অপরের সিঁথি ও মুখে সিঁদুর লাগিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দেবীকে প্রতীকী রথে আরোহন করিয়ে কৈলাসে প্রত্যাবর্তনের প্রথাও সম্পন্ন হয়।
গোপালগঞ্জে ১২৮৫টি মন্দিরে সকাল থেকেই ছিল ভক্ত–শুভার্থীদের ভিড়। প্রবল বৃষ্টিকেও উপেক্ষা করে নারীরা পূজা–অর্চনা, অঞ্জলি ও প্রদক্ষিণ শেষে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। রঙিন পরিবেশে ভাস্বর হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ। সিঁদুর খেলার পরপরই শুরু হয় দেবী বিসর্জনের প্রস্তুতি।
বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলাকে ঘিরে দেশজুড়ে তৈরি হয় এক অনন্য মিলনমেলা। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, এই আনন্দঘন মুহূর্তই দেবীর শক্তি ও আশীর্বাদ নিয়ে আসে সংসারে সুখ–সমৃদ্ধি।