বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কেন ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার করেছে? এই সময়ে বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে কেন ১১ জন কর্মীকে কারাগারে হত্যা করেছে?
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, ‘কোনও অপরাধে আমাদের নেতাকর্মীকে শেখ হাসিনা ও তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যা করেছে? কেন প্রায় নিরপরাধ মানুষকে গুম করেছে? কিসের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাকস্বাধীনতা হরণ করে, একের পর এক সাজানো মামলার পাতানো রায় দেওয়া হচ্ছে?’
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরেই নিহিত, দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আত্মত্যাগ, তথা সার্থকতা। কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে এবং শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কর্মসূচিতে, বিএনপি মোকাবেলা করে চলেছে সহিংস শেখ হাসিনা সরকারকে। অন্যদিকে ক্ষমতার মোহে অন্ধ আওয়ামী লীগ, একটি দানবীয় অপশক্তিতে পরিণত হয়ে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ধারণ করেছে ঘৃণ্য রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে।
আরও পড়ুন: জিনিসেরই দাম বেশি, সস্তা হলো আওয়ামী লীগ: গয়েশ্বর
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবারের ওপর যে নৃশংস অত্যাচার–অবিচার হয়ে আসছে দেশি–বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের অজস্র প্রতিবেদনে তা লিপিবদ্ধ।’
তার অভিযোগ, গায়েবি ও বানোয়াট মামলায় কোনও সাক্ষ্য–প্রমাণ ছাড়াই তালিকা করে বিএনপি ও এর অঙ্গ–সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত এই তালিকা। এই গণতালিকা ও সাজানো রায় থেকে বিএনপির মৃত বা গুম ব্যক্তিরাও বাদ পড়েন না।’
আল / দীপ্ত সংবাদ