জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন,বিএনপি হচ্ছে সেই দল যারা জামাত জঙ্গি সাম্প্রদায়িকতার উৎপাদন পুনরুৎপাদনকারীর ফ্যাক্টরি। এই উৎপাদন পুনরুৎপাদনকারীর ফ্যাক্টরি বিএনপি যতদিন বন্ধ করতে পারবেন না ততদিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে অশান্তি থাকবে।
শনিবার (২৭ মে) বিকেল স্থানীয় নোমানী ময়দানে জেলা জাসদ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাগুরা জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ অহিদুল ইসলাম ফনির সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাসদের কেন্দ্রী সদস্য জাহিদুল আলম। বক্তব্য রাখেন জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরি সভাপতি এ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম, ওবাইদুর রহমান চুন্নু, জেলা জাসদের সহ–সভাপতি মিয়া ওয়াহিদ কামাল বাবলু, সাধারন সম্পাদক সমীর চক্রবর্তি।
এ সময় তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, সামরিক শাসকদের হাত ধরে, বিএনপির হাত ধরে জঙ্গি জামাত রাজাকাররা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমদানি হয়। আমার আপত্তি তারা বাংলাদেশকে মানে নি, তারা সংবিধানকে মানে নি, আমার পতাকা মানে নি, আমার জাতীয় সংগীত কে মানে নি। আমার জাতির পিতা কে মানে নি। আমার ৩০ লক্ষ শহীদদের মানে নি ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত মানে নি।বাংলাদেশ মানে নি।
তারা মুখে বাংলাদেশ, অন্তরে পাকিস্তান। তাই আমি বলি যে জামাত জঙ্গি রাজাকার বাংলাদেশে পাকিস্তানপন্থার রাজনীতি করতে চাই। আমি এতবার বলেছি বাংলাদেশের রাজনীতি যদি পছন্দ না হয় পাকিস্তানের ট্রেনে উঠুন, আল্লাহর ওয়াস্তে পাকিস্তানের চলে যান। জামাত জঙ্গি রাজাকারদের আজকে এই অবস্থা হতো না, যদি না বাংলাদেশের বিএনপির সহ কয়েকটি দল তাদের পাইলে পুষে রাখত, তাদের বাঁচিয়ে রাখত, আমি তাই বলি আজকে নির্বাচনের অজুহতে হোক, গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে হোক বাংলাদেশে কোনদিনও জামাত রাজাকারের সরকার আমরা হতে দেব না, দেব না, দেব না। তাই আমি আজকে বলতে চাই যথাসময়ে নির্বাচন হবে, জামাত জঙ্গি রাজাকারের সরকার গঠনের চক্রান্ত আটকাতে হবে। এই দুই রাজনৈতিক কর্তব্য সামনে নিয়ে জাসদ মনে করে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখুন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখুন যথাসময়ে ভোট করুন, এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যান। এ সময় তিনি বিএপির উদ্দেশ্যে আরো বলেন, হয় নির্বাচনের ট্রেনে উঠুন আর না হয় কলার ভেলায় চড়ে সাগরে ভেসে যান।
জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরি সভাপতি এ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম বাণিজ্য মন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, চালের দাম বেশি ধানের দাম কম। কৃষক ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। রাতারাতি জিনিসপত্রের দাম ৩০–৪০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে চিনির দাম। ডালের দাম বেশি তেলের দাম বেশি, মাংসের দাম বেশি মুরগির দাম বেশি মাছের দাম বেশি। দরিদ্র মানুষ নিম্নবিত্ত মানুষ মাপা আয়ের মানুষ বাঁচার পথ কি? দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে মানুষের নাবিশ্বাস। মানুষ বলছে শেখের বেটি এত উন্নয়ন করল, দেশকে তো এগিয়ে দিল এত দক্ষতার সাথে দেশ চালাচ্ছে জিনিসপত্র দাম কি কন্ট্রোল করতে পারেনা? মানুষের দাবি জিনিসপত্রের দাম এই উর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্য এটা নিয়ন্ত্রণ করা হোক।
সরকারি দল থেকে বলা হয় সিন্ডিকেটের কারবার, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন এসব কথা শুনলে আমাদের শুনলে অবাক হতে হয়। দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী যিনি বাণিজ্যের দায়িত্ব আছেন দেশের এবং অভ্যন্তরীন তিনি কিনা বলছেন সিন্ডিকেটের কারবার। এই সিন্ডিকেট কারা? তাদেরকে কারা আগে চেনে, সিন্ডিকেটকে বেশি চেনে সরকারি দলের লোকরা , বেশি চেনে মন্ত্রীরা বেশি চেনে পুঁজিপতিরা। বেশি চেনে আমলারা। তাহলে সিন্ডিকেট এই কারবারি করে কিভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে? সেটাই আমার আজকের প্রশ্ন, সিন্ডিকেটের কথা বলেন। মানুষ সিন্ডিকেট বোঝেনা মানুষও বোঝে তার জিনিসের দাম কম থাকতে হবে ন্যায্য থাকতে হবে মানুষ যাতে কিনে খেতে পারে বাঁচার মত বাঁচতে পারে। আমি সরকারের কাছে বলি জিনিসপত্রের দাম কমান্ড নিয়ন্ত্রণে রাখুন । এই এত কিছুই সরকার করল কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কেন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। ঘুরিয়ে দিন সিন্ডিকেটকে গুড়িয়ে দিন। সিন্ডিকেটের প্রতি যদি এত দরদ থাকে তাহলে দায়িত্ব নিলেন কেন। আর দায়িত্ব যখন নিয়েছেন তখন সিন্ডিকেট কে গুড়িয়ে দিন যারা দেশের মানুষকে এত কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
আল/দীপ্ত সংবাদ