টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার খানুরবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার শেখ রাফি উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে জহুরুলের ছেলে এবং প্রধান আসামি ধর্ষক একই গ্রামের ইদ্রিস সরকারের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, ধর্ষক মেহেদী ও স্কুলছাত্রী একই শ্রেণিতে পড়শোনা করতো। এই সুযোগে ওই ধর্ষক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় ব্লু–প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার নগ্ন ছবি মোবাইলে ভুলে রাখে। শনিবার (২২ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ফেসবুকে ছবি ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ বিষয়টি স্কুলছাত্রীর দাদী টের পেয়ে ডাক–চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে ধর্ষক মেহেদী ও তার সহযোগী রাফিকে আটক করে। পরে ধর্ষক ফোন করে তার সহযোগিদের জানালে ২০–২৫ লোকজন এসে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ধর্ষককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আহত রাফি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভূঞাপুর হাসপাতালে আসে। এ খবর পেয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশ রাফিকে আটক করে।
এ ঘটনায় রবিবার (২৩ এপ্রিল) ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তবে, প্রধান আসামি ও ধর্ষক মেহেদীসহ অজ্ঞাতরা পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্রীর মা বাদীয় হয়ে ধর্ষণ ও হামলার মামলা করেছে। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও তার বাড়িতে হামলার ঘটনার প্রাথমিক সততা পাওয়া যায় এবং ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পলাতক মেহেদীর সহযোগী শেখ রাফিকে হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া প্রখন আসামি মেহেদীসহ অজ্ঞাতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এমি/দীপ্ত