বান্দরবানে আগত দেশি–বিদেশি পর্যটকেরা যেন এখানকার অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে সেজন্য স্থানীয় বন বিভাগ গাছ লাগানো সহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) নীলগিরিতে অবস্থিত রেস্ট হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইকো–ট্যুরিজম সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য বান্দরবান বন বিভাগ ও বান্দরবান পাল্পউড প্ল্যান্টেশন বিভাগের আওতাধীন বনাঞ্চল সমূহ পরিদর্শন শেষে তিনি বৈঠকে বসেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, সৌন্দর্য মণ্ডিত কৃষ্ণচূড়া, পলাশসহ নানাধরনের গাছ অধিক পরিমাণে লাগানো হবে। রাস্তার দুধারে এ গাছ লাগানো হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের সাথে সমন্বয় করে এসকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
বন মন্ত্রী স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিয়ে বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা যাতে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে জুম চাষ করে, পাহাড়ে যাতে আগুন না লাগায় সে বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার তাদের জীবনমান উন্নয়নে জীবিকা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
বান্দরবানের সংরক্ষিত ১লক্ষ ৮৫ হাজার একর পাহাড়ী বনাঞ্চলের বৃক্ষহীন স্থানগুলোতে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করবে সরকার। পাহাড় বৃক্ষাচ্ছাদিত থাকলে পানি থাকবে, আর পানি থাকলে মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচতে পারবে
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জিয়াউল হক এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল, বান্দরবান পাল্পউড বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: মাহমুদুল হাসান এবং বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।
অনু/দীপ্ত সংবাদ