স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাদাম। বাদামে রয়েছে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাংগানিজসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান। অফিসের টেবিলে কিংবা ব্যাগে তাই বয়াম ভর্তি করে বাদাম রাখতে পারেন। কিন্তু প্রশ্ন, কোন বাদামটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো।
আমরা ভাজা বাদাম লবণ দিয়ে খেতেই বেশি পছন্দ করি। অনেকে হয়তো কাঁচা বাদাম খেয়ে থাকেন। তবে অনেকে হয়ত কাঁচা বাদামের গুনাগুন খুব একটা জানিও না। আসুন জেনে নেয়া যাক কাঁচা বাদামের উপকারিতা–
১। কাঁচা বাদাম আমাদের চেহারার ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করে ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
২। কাঁচা বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা শরীরের শক্তি জোগায়।
৩। শরীরের পানি শূন্যতা থাকলে কাঁচা বাদাম পানিতে ভিজিয়ে খেলে শরীরের পানি শূন্যতা দূর হবে।
৪। ওজন কমাতে কার্যকর কাঁচা বাদাম।
৫। রক্তচাপ সমস্যা দূর হয় কাঁচা বাদামে। সেই সঙ্গে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে।
৬। একটা বয়সের পর নারীদের আর পিরিয়ড হয় না। একে বলা হয় মেনোপোজ। যেসব নারীর মেনোপোজ হয়ে গেছে তাদের হাড় দূর্বল হয়ে যায়। এসময় নারীর শরীরে অনেক দরকারি হরমোন তৈরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের জন্য সাহায্যকারী একটি খাবার হতে পারে কাঁচা বাদাম।
৭। কাঁচা বাদামে থাকে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিনের মতো নানা উপাদান। এ সব মিলে কাজের ক্ষমতাও বাড়ায়। রোজ যদি অল্প করে কাঁচা বাদাম খাওয়া যায়, তহলে কর্মক্ষমতা এক বারে অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ বাদাম শুকনা তাওয়ায় ভেজে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। তবে স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করলে কাঁচা বাদাম খাওয়াই ভাল।
বাদাম ভাজলে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বাদামের ভাল ফ্যাট নষ্ট হতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিনের পরিমাণও হ্রাস পেতে পারে। ভাজা বা রোদে রাখা বাদাম ঠান্ডা না করে বয়ামে ভরে রাখলেও পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
তবে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে এর মধ্যে তেল বা লবণ কোনোটাই দেয়া যাবে না।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ