বাগেরহটের শরণখোলায় দূবৃত্তের ছুরিকাঘাতে মা ও মেয়ে খুনের ঘটনায় নিহত পাপিয়া বেগমের স্বামী আবু জাফর হাওলাদার প্রধান আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে ।
শনিবার (১২ আগষ্ট) নিহত পাপিয়ার ভাই আলামিন খলিফা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাপিয়ার স্বামী আবু জাফর তার দুই ভাই মো: আবু তালেব, আবু বক্কর হাওলাদার ও তার বোন আসমা বেগমসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করা হয়েছে ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ হাওলাদারের ছেলে গ্রাম চৌকিদার মনির হাওলাদার (৪৫) ও তার দুই ভাই নেহারুল হাওলাদার (৪৮) এবং মিলন হাওলাদার (৪০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানাগেছে, স্বামী আবু জাফরের পরকিয়াকে কেন্দ্র করে পাপিয়ার সাথে পারিপারিক কলহ চলছিল। পারিবারিক কলহে জেরে তার স্বামী আবু জাফর ও গ্রেপ্তারকৃত আসামী গ্রাম চৌকিদার মনির হাওলাদারসহ কয়েকজন আসামী তাকে খুনের হুমকি দিয়ে আসছিল। আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে ভীকটিম ও তার শিশু সন্তানকে হত্যা করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ।
শনিবার (১২ আগষ্ট) বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে মা মেয়ে খুনের ঘটনায় থানায় মামলা ও আসামীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক । তিনি আরো জানান, খুনের সাথে জড়িত বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে । সেই সাথে খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের কাজও চলছে। ভীকটিমের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে দূর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন পাপিয়া আক্তার (৩৫) ও তার ৫ বছর বয়েসী শিশু কন্যা সাওদা জেনি। পাপিয়ার স্বামী আবু জাফর হাওলাদার কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তার ছেলে জিহাদ (১৫) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে। মেয়েকে নিয়ে পাপিয়া বাড়িতে একাই থাকতেন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ