বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে চলাচল করছে আন্তঃদেশীয় ট্রেন। মৈত্রী, বন্ধন, মিতালী এক্সপ্রেসের পরে দীর্ঘ ৭৭ বছর পর রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে পুনরায় ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেয়া হয়। যেটি হবে দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী চতুর্থ আন্তঃদেশীয় ট্রেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রেলপথ করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে ভারতীয় রেল ১২টি রুট দিয়ে চলাচল করবে।
বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ ও উন্নত করার জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এ সুযোগ নিতে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশটি। তারা এমন সুযোগ পেলে বাংলাদেশ কি লাভবান হবে— তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
গত ২২ জুন (শনিবার) ভারতের নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করা হয়। সমঝোতা স্মারকে রয়েছে– রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন একটি আন্তর্দেশীয় ট্রেন–সার্ভিস চালু করা এবং বাংলাদেশে ভারতের রেল–ট্রানজিট।
তারা এমন সুযোগ পেলে বাংলাদেশ কি লাভবান হবে— তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করে ভারতই বেশি লাভবান হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এর আগে নৌ–করিডোর নিয়ে চুক্তি হলেও বাংলাদেশ বেশি লাভবান হতে পারেনি। আবার ট্রেনে যাত্রী পরিবহনে বাংলাদেশ লাভ করলেও পণ্য পরিবহনে খুব বেশি লাভ করতে পারবে না।
আল/ দীপ্ত সংবাদ