মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা মিলে সমুদ্রপথে মানব পাচার

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

 

 

বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের সখ্যতায় গড়ে ওঠা মানব পাচার চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন ও উন্নত জীবনযাপনের আশায় মালয়েশিয়া যেতে চায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ২২ যুবক। তাদের কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ট্রলারযোগে মিয়ানমার নেওয়া হয়। সেখানে তাদের নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করে একটি চক্র।

শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের ১৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকার ১৯ জন যুবক মানবপাচার চক্রের মাধ্যমে টেকনাফ থেকে নৌপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় মিয়ানমারের কোস্টগার্ড কর্তৃক আটক হয়। এ ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল আবুল কামলাম আজাদ বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে অন্যান্য ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা গত ১০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্ত (ইউএনও) এর কার্যালয়ে গিয়ে তাদের স্বজনদের ফিরে পেতে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন করেন।

এ চক্রের মাধ্যমে মালয়েশিয়া পাচার হওয়া জহিরুল গত ২৪ মে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। গত ২৮ মে বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তার মরদেহ দেশে আনা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইসমাইল এ চক্রের বাংলাদেশের মূলহোতা। তিনি গত ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়া অবস্থান করেন। দেশে ফিরে তিনি ১০ থেকে ১২ জনের একটি মানব পাচার চক্র গড়ে তুলে অবৈধভাবে বিদেশে লোক পাঠাতেন। তিনি প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে মানব পাচারের এ চক্রটি পরিচালনা করছেন বলে জানা যায়।

 

 

আল/ দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More