সিলেট সীমান্তের ওপারে জৈন্তিয়া হিলস এলাকার বাংলাদেশ–ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে মেঘালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৯ মে) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত জারি করা আদেশের বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ চলবে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখার ‘জিরো লাইন‘ থেকে ভারতীয় অংশে এক কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এই কারফিউ কার্যকর হবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী শিবাংশ অবস্থির স্বাক্ষরিত আদেশ অনুযায়ী ১৬৩ ধারায় এ কারফিউ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে– পূর্ব খাসি হিলস, পশ্চিম জৈন্তিয়া হিলস ও পূর্ব জৈন্তিয়া হিলস জেলার ভারত–বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ কার্যকর থাকবে। কারফিউটি সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে ৫০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় প্রযোজ্য হবে।
কারফিউর আওতায় যেসব কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তা হলো– আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ বা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্যে চলাফেরা। পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির অবৈধ জমায়েত, মিছিল বা অস্ত্র, লাঠি, রড ও পাথরসহ অন্যান্য অস্ত্রোপযোগী বস্তু বহন, গবাদিপশু, চোরাচালান পণ্য– সুপারি, পানের পাতা, শুকনো মাছ, বিড়ি, সিগারেট, চা পাতা ইত্যাদি পাচার।
আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে– সীমান্ত এলাকা সম্পূর্ণরূপে বেড়াবিহীন হওয়ায় এটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশ পথে পরিণত হয়েছে। ফলে শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও আদেশে উল্লেখ করেছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।
আদেশের একটি কপি সিলেট জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১০ মে) সকালে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে সিলেট বিজিবি (৪৮ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হকও কারফিউ জারি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই বিষয়টি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে আমরাও আমাদের সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করেছি।
এসএ