করোনা মহামারিসহ গত কয়েক বছরে ফুলের কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেলেও এবার প্রায় শত কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন যশোরের গদখালীর চাষিরা। ফেব্রুয়ারি–মার্চের কয়েকটি দিবসকে ঘিরে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
ফুল হলো ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম। ফুল ছাড়া বসন্ত, ভালোবাসা দিবস, কিংবা শহীদ দিবস কোনোটাই যেন পরিপূর্ণ হয় না। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে বসন্ত উৎসবসহ দুটি দিবস (বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস) এবং মার্চে স্বাধীনতা দিবস রয়েছে। এসব দিবস ঘিরে মাঠ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল চাষিরা।
আসন্ন দিবসগুলোকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা জাতের ফুল চাষ করেছেন তারা। এসবের মধ্যে রয়েছে– রজনীগন্ধা, গাঁদা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চায়না গোলাপ।
এক চাষি বলেন, ‘আগামী ১৪ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি দুটি দিবসে ফুলের চাহিদা অনেক। তাই বেশি লাভ পাবার আশায় ফুল ফুটাচ্ছি।’
আরেক চাষি বলেন, ‘এখন প্রতিটি ফুল পাঁচ-ছয় টাকা বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি, ১৪ ও ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষো বিশ থেকে পঁচিশ টাকা পাব।’
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, ‘বসন্ত, ভালোবাসা দিবস এরং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমাদের এই অঞ্চলে থেকে ৬০ থেকে ৭০ কোটি এবং সারা দেশে দেড়শ থেকে দুইশ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করছি।‘
যশোরের ঝিকরগাছার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘আমরা দুইটা ফুল নেদারল্যান্ড থেকে ইন্টোডিউজ করেছি , একটি হচ্ছে টিউলিপ, আরেকটি হচ্ছে লিলিয়াম। আগামী এই তিনটি দিবসে প্রায় একশ কোটির উপরে ফুল ব্যবসা হবে এবং আমাদের টোটাল ইয়ার রাউন্ডে প্রায় পাঁচশ থেকে ছয়শ কোটি টাকার ফুল বিক্রা হবে। এবার ঝিকরগাছা উপজেলায় ৬৩০ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে।‘
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, প্রায় ছয় হাজার চাষি এখানে ফুলচাষের সঙ্গে জড়িত।
আফ/দীপ্ত সংবাদ