বান্দরবানে বসবাসরত ১১টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সাংগ্রাই উৎসব।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবানের রাজার মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।
চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, ম্রো, খিয়াং, খুমি, বমসহ ১১টি জাতিগোষ্ঠী নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, বর্ণিল সাজ, গানের তালে তালে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে একত্রিত হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা উৎসাহ–উদ্দীপনায় একযোগে কাজ করছি। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের জন্য একসঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি জাতিগোষ্ঠী এই উৎসব নিজস্ব নামে উদযাপন করেন। মারমারা একে বলে ‘সাংগ্রাই’, চাকমারা ‘বিজু’, ত্রিপুরারা ‘বৈসু’, তঞ্চঙ্গ্যারা ‘বিষু’, অন্যরা ‘চাংক্রান’ নামে জানে।
জানা যায়, বান্দরবান জেলা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসব চলবে ১৩ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য র্যালি, বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা, বুদ্ধস্নান, পিঠা উৎসব, ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা, তৈলাক্ত বাঁশে চড়া এবং শেষ তিনদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মৈত্রীয় পানি বর্ষণ বা জলকেলি।
ক্যমুই অং মারমা/ইএ