বরিশালে ইফতারীর মূল্য বৃদ্ধি পেলেও তাতে প্রভাব পরেনি ইফতারির বাজারে। প্রতি বছরের মত এবারেও ইফতারির বাজারে রয়েছে ক্রেতাদের ভীর। বাহারী নতুন আইটেম আর মুখরোচক ইফতারী তৈরীর প্রতিযোগীতা চলছে নগরীর রেস্তোরাগুলোতে ।
রোজার পুরো মাস ভেজাল মুক্ত খাবার বিক্রির জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
নামীদামী রেস্তোরাসহ ছোটবড় শতাধিক দোকান মালিক নেমেছেন ইফতারী আইটেমের প্রতিযোগিতায়। এছারা নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশে অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে অসংখ্য ইফতারীর দোকান।
ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে খাসীর মাংস দিয়ে তৈরী কালা ভূনা, খাসির রান, মুরগী মসল্লাম, ক্র্যাম চিকেন, চিকেন ড্রাম স্টিক, চিকেন টোষ্ট, ক্রিসপি ফ্রাইড চিকেন, জামাই জিলাপীসহ বাহারী নাম ব্যবহার করা হয়েছে। তার সাথে যোগ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পিঠা। তবে এ সকল খাবারে গত বছরের তুলনায় ২০–৫০ টাকার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। মূল্য বৃদ্ধি পেলেও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ও মানসম্মত খাবারের নিশ্চয়তা চান রোজাদাররা।
বিক্রেতার দাবি কাচামাল বিভিন্ন পন্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব ইফতারীর বাজারে প্রভাব পরেছে।
রমজানে ভেজাল মুক্ত খাবার সরবরাহে প্রচার প্রচারনা চালানো হয়েছে, ভেজাল বিরোদি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারপরও কেউ ভেজাল খাবার বিক্রি করলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বরিশাল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক অপূর্ব অধিকারী
রমজানের বেচাকেনা কেবলই যেন লাভের নিমিত্তে না হয়, মান ও সেবার ক্ষেত্রটিও যেন অগ্রাধিকার পায় সেটি নিশ্চিত করতে প্রশাসন কার্যকরি ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা বরিশাল বাসীর।
অনু/দীপ্ত সংবাদ