টানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় দুর্গত মানুষ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সাহায্যে সহযোগিতা করতে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইমাম সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ ইমাম সমিতির প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত যৌথবিবৃতিতে এ আহ্বান করা হয়।
যৌথবিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে সম্প্রতি গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় কুমিল্লা, নোয়াখালি, ফেনী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি সহ বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যা দুর্গত মানুষ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল সহ অন্যান্য হাসপাতালের খোঁজখবর ও সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন এবং বন্যা দুর্গত মানুষের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
একই সাথে বন্যা দুর্গত সকল ইমামদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা সহ দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়িক ও অন্যান্য সংগঠন কে এই মুহূর্তে বন্যা দুর্গত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যারা আহত তাদের পাশে দাঁড়ানোর জোর দাবি জানিয়েছেন, এবং ছাত্রদের নামে কিছু দুর্বৃত্তরা মানুষের জান মাল ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তাদের ব্যাপারে মসজিদে খুতবার মাধ্যমে জাতিকে সতর্ক করার আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথবিবৃতিতে বাংলাদেশ ইমাম সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট হাফেজ মাওলানা লুৎফর রহমান, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আতিকুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মাওলানা এ এইচ এম আবুল কালাম আযাদ বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন জেলায় গত ৫০ বছরে এত পানি দেখা যায়নি।
ভারত সরকার এই বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের পানিতে ডুবিয়ে মারার ব্যবস্থা করেছে। এ পর্যন্ত অনেক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ বাড়ি–ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। শিশুদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অপরদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকার হাসিনার লেলিয়ে দেয়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের স্বসস্ত্র হামলা ও গুলির কারণে দেশে হাজারেরও বেশি ছাত্র–জনতা শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছে হাজার হাজার ছাত্র। বাংলাদেশের সব আলেম–ওলামা, ইমাম–খতিব, ওয়ায়েজদের পাশাপাশি সরকারী বেসরকারি বিভিন্ন সেবা সংস্থা এবং সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ