সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত না থেকেও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস ছিলেন বেগম মুজিব। সাধারণ গৃহবধূ হয়েও জীবনের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি জাতির পিতার পাশে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রেখেছেন।
শেখ ফজিলাতুননেছা ছিলেন দুঃখ–কষ্ট–বেদনার উপলব্ধিতে সর্বজয়ী এক আত্মত্যাগী নারী।
বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, ডাকনাম রেনু। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা আর পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারানো রেনু পেয়েছিলেন হৃদয়বান এক স্বামী। যিনি টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে হয়ে উঠেন বাঙালির মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। যার প্রেম–ভালোবাসা–স্নেহ–মমতায় রেনু ছিলেন বিমুগ্ধ।
বঙ্গবন্ধুর পাঁচ সন্তানের সংসার একাই সামলেছেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে থাকতেন, তখন রেনু ছিলেন খোলা কারাগারে। সংসার, মামলা–মোকাদ্দমার খরচ সবকিছু জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হতো। এমনকি সন্তান জন্মদানকালেও অনেকসময় বঙ্গবন্ধুকে পাশে পাননি বেগম মুজিব।
ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের দুর্দিনে তিনি দল চালিয়েছেন। দক্ষ ম্যানেজারের মতো সামলেছেন বঙ্গবন্ধুর পিতা–মাতাসহ পুরো পরিবারকে। একজন সাধারণ গৃহবধূর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা ছিলো অতুলনীয়।
মৃত্যু আলাদা করেছে মুজিব–রেনুর আত্মার বন্ধনকে। বঙ্গবন্ধু চিরনিদ্রায় শায়িত গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় আর বঙ্গমাতা ঢাকার বনানী কবরস্থানে। জীবদ্দশায় দু‘জনই লিখেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার অমরকাব্যগাথা।
আল/ দীপ্ত সংবাদ