জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও তার জীবন এবং দর্শন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার হাইড্রোকার্বন ইউনিটের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
হাইড্রোকার্বন ইউনিটের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (পিআরএল) মোহাম্মদ জাকির হোসেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) পরিচালক মো. আবুল বাসার সিদ্দিক আকন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক মো. শামীম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন হাইড্রোকার্বন ইউনিটের পরিচালক দীপক কুমার চক্রবর্তী।
সেমিনারের প্রধান অতিথি মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, একটি দেশের শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নের মেরুদণ্ড হচ্ছে জ্বালানি খাত। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিল আত্মমর্যাদাশীল স্বনির্ভর জাতি হিসেবে বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করা। সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর থেকেই নিজস্ব খনিজ সম্পদ আহরণে জোর দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: চাষারা কাউন্ট ডাউন মাঠে বঙ্গবন্ধুর স্টেইজ নির্মিত হবে: শামীম ওসমান
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অকুতোভয় নেতৃত্ব, অসীম সাহস ও অদম্য দৃঢ়চেতনায় পাকিস্তানি উপনিবেশবাদের চর্বচোষ্যকে বিতাড়িত করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেন লাল–সবুজের মানচিত্রে আঁকা একটি ভূখণ্ড, যার নাম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য শুধু মুক্তিযুদ্ধে জাতিকে নির্দেশনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং ‘৭৫ পরবর্তী যেকোনো জাতীয় সংকট ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত মোকাবিলায় এই ভাষণ আমাদের পথ দেখায়।
সেমিনারের সভাপতির বক্তব্যে হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক মো. শামীম খান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি নিরাপত্তার পথ নির্দেশনা দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর সুদূর প্রসারী কর্মপরিকল্পনা ও নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের জ্বালানি খাত সমৃদ্ধ করছেন।
অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলা ও পেট্রোবাংলার কোম্পানিসমূহ, বিপিসি ও বিপিসির কোম্পানিসমূহ, জিএসবি, বিএমডি, বিপিআই, বিস্ফোরক পরিদপ্তর এবং হাইড্রোকার্বন ইউনিটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্তি/ দীপ্ত নিউজ