ফেনী পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পিটুকে (৩৫) গ্রেপ্তারে পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতে নেওয়া হলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, সাইফুল ফেনী শহরের পুলিশ কোয়ার্টার, রামপুর ও শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক এলাকায় পিটু বাহিনীর প্রধান হিসেবে পরিচিত। তাকে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া বাজার এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালতে নেওয়া হলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পিটু সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সাইফুলের বিরুদ্ধে ফেনী ও সোনাগাজী থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। তাকে ফেনী মডেল থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ফেনী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাবলু জানান, সাইফুল গ্রেপ্তার হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। তবে তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা তিনি জানেন না।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যুবলীগের নেতা সাইফুলকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর খোঁজ নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সাইফুলের বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত; ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া বাজারে চাঁদা না পেয়ে দোকানে হামলার ঘটনায় মামলায় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম পিটুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ–আইন সম্পাদক এ কে এম কামরুজ্জামান রুবেল মিয়াজীর দোকানে হামলা ও ভাংচুরের মামলা করেন। এ কে এম কামরুজ্জামান রুবেলের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১১ আগস্ট শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পাঁচগাছিয়া বাজারে হামলাকারীরা নগদ টাকাসহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। তারা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেও তার দাবি।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ