গ্রীষ্মকালীন নানা রকমের বাহারী ফুলে ফুলে ছেঁয়ে গেছে নওগাঁর জেলা প্রশাসকের বাসভবন (বাংলো) প্রাঙ্গন। পুরো প্রাঙ্গনই যেন এক টুকরো ফুলের স্বর্গ রাজ্য। বাংলোয় প্রবেশ করতেই পূর্বদিকের এই ফুলের বাগানের দিকে দৃষ্টি চলে যাবে আর এমন মুহূর্ত্ব স্মরণীয় করে রাখতে ক্যামেরায় একটি ছবি তুলতে কেউ একটুও ভুল করবে না।
প্রতিদিন সকালে এমন ফুলের বাগান দর্শনে মন যেমন সতেজ হয়ে ওঠে তেমনি ভাবে কাজের অনুপ্রেরণা যোগাতে এমন বাগানের বিকল্প নেই।
বর্তমানে বাগানে ফুটে থাকা বেগুনি রঙের অলকানন্দা ফুলটি সবচেয়ে বেশি মনকাড়বে। এছাড়াও হলুদ রঙের কলাবতি ফুল, করবি, কামিনী, মাধবী লতা, মধু মালতী, কুন্দ, চন্দ্রমল্লিকা, জুঁই ফুলতো রয়েছে। দেশিজাতের ফুলের পাশাপাশি রয়েছে নানা জাতের গোলাপ, গাঁদা, অ্যাডেনিয়াম, ম্যাগনোলিয়া গ্র্যান্ডিফ্লোরা, গোলাপী টগর (কপসিয়া ফ্রুটিকোসা) প্রভৃতি জাতের মনকাড়া ফুল।
এছাড়াও, বিভিন্ন জাতের পাতাবাহার গাছগুলোও সহজেই দর্শনার্থীদের মনকাড়বে। ফুলের বাগানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক বাংলোর ভিতরের অন্যান্য জায়গা পরিত্যক্ত ফেলে না রেখে তৈরি করা হয়েছে সবজির বাগান।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘ফুলকে ভালোবাসে না এমন প্রকৃতির মানুষ মনে হয় এই পৃথিবীতে খুব কমই আছে। সৃষ্টিকর্তার সকল সৃষ্টির মধ্যে ফুল অন্যতম। ফুল মানুষের বিষন্ন মনকে সতেজ করে তোলে। যুগে যুগে কালে কালে এই ফুলকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জগৎখ্যাত কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাসসহ নানা ধরণের সাহিত্য। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফুলের দর্শন পুরো দিন কাজ করার বিরাট অনুপ্রেরণা যোগায়। অবসর সময় কাটানোর জন্য ফুলের বাগান একটি অনন্য স্থান। নিজেরসহ পরিবারের সকল সদস্য ও অন্যান্য দর্শনার্থীদের মন প্রফুল্ল, সতেজ ও ফুরফুরে রাখতে নিজেদের বাড়ির যে কোন একটি জায়গায় সাধ্যমতো একটি করে ফুলের বাগান তৈরি করার কোন বিকল্প নেই। আমি এই জেলায় যোগদানের পর এই বাংলো প্রাঙ্গনে আগের স্যারদের গড়ে তোলা ফুলের বাগানটির পরিসর বৃদ্ধি করাসহ নানা জাতের বিভিন্ন ফুলের গাছ যোগ করেছি মাত্র।‘
তিনি আরও বলেন, দিন শেষে ক্লান্ত দেহ মনকে সতেজ করতে এই বাগানে ফুটে থাকা নানা জাতের মনকাড়া ফুলদের আলিঙ্গনের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া এই বাগানে এলে অবসর সময় ভালোই অতিবাহিত হয়।
আফ/দীপ্ত সংবাদ