ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল–কুদস হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সেখানে নবজাতকসহ অনেক রোগী রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এটি কিছুতেই সম্ভব নয়। তেলআবিবের দাবি, হাসপাতালগুলোতে হামাস ঘাঁটি করেছে। এদিকে, ইসরায়েলের স্থল অভিযানের বিরুদ্ধে লড়ছে হামাসের যোদ্ধারা।
মেশিন গান ও ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে গাজা উপত্যকার ভেতরে ঢুকেছে ইসরায়েলি সেনারা। হামাসের সামরিক শাখা ‘আল–কাসfম ব্রিগেডস‘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এক বিবৃতিতে হামাস দাবি করেছে, তাদের হামলায় ইসরায়েলের দুটি ট্যাংক গ্রতিগ্রস্ত হয়েছে।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গাজার ভেতরে তীব্র বিমান হামলা চালায় তেলআবিব। পাশাপাশি ট্যাংক ও কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়।
এদিকে, আল–কুদস হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে রোগী আর ইনকিউবেটরে অনেক নবজাতক রয়েছে, যাদের স্থানান্তর করা অসম্ভব বলে জানিয়েছে রেডক্রস। এ ছাড়া, প্রায় ১৪ হাজার বেসামরিক নাগরিক হাসপাতালটিতে আশ্রয় নিয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, রবিবার হাসপাতালটির ৫০ মিটার দূরে বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্রেব্রিয়াসুস।
তিনি বলেন– রোগী থাকা অবস্থায় হাসপাতাল খালি করার কোনো সুযোগ নেই।
তেলআবিবের দাবি, হাসপাতালগুলোকে হামাস ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। ইসরাইলের হামলায় গাজায় এথন পর্যন্ত কমপক্ষে তিন হাজার শিশু সহ, ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ১৪শ জন প্রাণ হারিয়েছে। জিম্মি করা হয় দুই শতাধিক মানুষকে।
আল/ দীপ্ত সংবাদ