গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পোলট্রি শিল্পে অধিক প্রোটিন সরবরাহ করতে শুরু হয়েছে বিটোল পোকার চাষ। আস্থা পোলট্রি খামারে সল্প পরিসরে এই পোকার চাষ শুরু করে ইতোমধ্যে লাভবান হয়েছেন খামার কর্তৃপক্ষ। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই পোকার লার্ভা খাবারের সঙ্গে মুরগিকে খাওয়ালে খাদ্য সাশ্রয় হবে ও ব্যয় কমবে।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া চক্ষু হাসপাতাল এলাকার পোলট্রি খামারি সোহেল নাওরোজ তার আস্থা এগ্রো ফার্মে উন্নত জাতের দেশি–বিদেশি মুরগি পালন করে আসছেন। তার খামারে টার্কি, তিতির ও কাদাকনাথের মতো মুরগিও রয়েছে। এসব মুরগির পাশাপাশি তিনি খামারে বিটোল পোকার চাষ শুরু করেছেন।
বিটোল পোকা উড়তে পারে না এবং দুর্গন্ধ ছড়ায় না তাই খুব সহজে অল্প জায়গায় যেকোনো স্থানে এর চাষ করা সম্ভব।
বেশ কিছু এলাকা থেকে আসা পোলট্রি খামারিরা এই পোকা চাষ পদ্ধতি এবং পোলট্রি শিল্পে ভালো ফল দেখে তারাও বিটোল পোকা উৎপাদনে আগ্রহী হয়েছেন।
পোলট্রি খামারে এক কর্মরত শ্রমিক জানান, বিটোল পোকা চাষে অনেক সুবিধা রয়েছে। এর চাহিদাও অনেক। এই পোকাকে বাঁধাকপি, ফুলকপি কুচি কুচি করে কেটে খেতে দেয়া হয়।
স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘এটি একটি অপ্রচলিত খাবার। গবেষণাগারে পরীক্ষায় এর গুণাগুণ প্রমাণিত হলেই কেবল এটি পোলট্রি খামারীদের মাঝে সম্প্রসারণ ঘটানো সম্ভব হবে।‘
এমি/দীপ্ত সংবাদ