শরীরকে ময়লা ও জীবাণুমুক্ত রাখতে আমরা গোসলের সময় সাবান ব্যবহার করি। তবে গোসলের সময় নিয়মিত সাবানের ব্যবহার করলে ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হয়। কী বলছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা?
ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল
ত্বকের উপর প্রচুর মাইক্রোঅর্গ্যানিজম থাকে। এগুলো ত্বকের রোগ প্রতিরোধী স্তর নির্মাণ করে। বারবার সাবান মাখলে এই মাইক্রোঅর্গ্যানিজমগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
ফলে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত ত্বক আমাদের দেহের সবচেয়ে বড় রোগ প্রতিরোধী অঙ্গ। এটি শরীরের ভেতরের নানা অঙ্গকে রোগের হাত থেকে বাঁচায়।
ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ্ম
বারবার সাবান মাখলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ্ম হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ সাবানেই ক্ষার থাকে। সেগুলোতে কোনো ময়েশ্চারাইজার থাকে না। ফলে এমনটি ঘটে।
ত্বকের সংক্রমণ
ত্বকের মাইক্রোঅর্গ্যানিজম নষ্ট হয়ে গেলে, স্বাভাবিক তেল বা সিবাম কমে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একজিমা ও সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ বেড়ে যায় বেশি সাবান মাখলে। তাই সাবান যেমন সংক্রমণ আটকায়। তেমনই বেশি ব্যবহার করলে সংক্রমণ ডেকে আনে।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান প্রখর ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে গঠিত। সারা দিনে শরীরে যে ময়লা ও জীবাণু হয় সেগুলো দূর করতে আমরা এই সাবানের ব্যবহার করি। তবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো প্রতিরোধ করা বা মেরে ফেলার পাশাপাশি উপকারীগুলোকেও প্রতিরোধ করে।
মেরিল্যান্ডের ডাইজেসটিভ সেন্টার ফর ওমেন ইন শেভি চেজের প্রতিষ্ঠাতা রোবেইন চাটকান বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন গা মেজে গোসল করি ব্রন ও একজিমা থেকে দূরে থাকতে। খুব ঘেমে যাওয়ার পরও প্রতিদিন পানি দিয়ে আলতোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করাই যথেষ্ট।
আল / দীপ্ত সংবাদ