অযত্ন ও অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসা ঢাকা গেইট সংস্কার করে তার পুরানো রূপে ফিরিয়ে এনে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরের কাছে এই এ স্থাপনার উদ্বোধন করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র।
প্রায় সব দেশেই ঐতিহাসিক শহরে প্রবেশদ্বার বা ফটকের আলাদা ইতিহাস রয়েছে। তেমনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বর পেরিয়ে টিএসসি যেতে চোখে পড়ে মোগল আমলের নান্দনিক স্থপত্যকীর্তি ঢাকা গেইট।
মোগল আমলে শহরের সীমানা বোঝাতে এ ফটকের নাম আসত। কেউ কেউ একে ‘মীর জুমলা গেইট বললেও, কখনো ময়মনসিং গেইট বা কখনো ঢাকা গেইট এবং রমনা গেইট নামেও পরিচিতি পেয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সরকারের গেজেট অনুসারে এ ফটক ও আশপাশের এলাকার নাম দেয়া হয় মীর জুমলা গেইট।
কালের ইতিহাসের সাক্ষী এই গেটটি মুগল আমলেই নির্মাণ করা হয় বলে মনে করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তবে এর বিপরীত মত যে নেই, এমন নয়। ঢাকা গেটের স্তম্ভ পরীক্ষা করে ইতিহাসবিদ এ এইচ দানী বলেছেন, এগুলো মোগল আমলে তৈরি হয়নি। কারণ স্তম্ভের দুটি গড়ন ইউরোপীয় ধাঁচের।
এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ঢাকা কোষের তথ্যমতে, ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ সালের মধ্যে ঢাকার সীমানা চিহ্নিত করতে এবং স্থলপথে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ঢাকা গেট নির্মাণ করেন মীর জুমলা। তখনকার মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে মীর জুমলা ছিলেন বাংলার সুবেদার।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক শাসন চলাকালীন সময়ে গেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই গেটটির পুরোনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
বুধবার বিকেলে উদ্বোধন করা হয় ঢাকা গেট। এরপর জনসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আল / দীপ্ত সংবাদ