পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধের কারনে ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও তার ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
শনিবার (২৮ জুন) রাত ১২ দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে চরবলেশ্বর এলাকায় ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম এর স্ত্রী রেহানা বেগমকে (৪০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। নিহত শহিদুল ইসলাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক বলে জানা গেছে।
নিহত চন্ডিপুর ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) চর বলেশ্বর এলাকার মৃত আসলাম হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ১২টার দিকে শহিদুলের বাড়িতে ডাক চিৎকার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এসে দেখে শহিদুল ইসলাম ও তার ভাবিকে পুকুর পাড়ে কুপিয়ে ফেলে রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন। তার স্ত্রী রেহেনা বেগমকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
গুরুতর আহত রেহেনা বেগম জানান, রাতে হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী ইউনুসসহ আরো ৪–৫ জন তাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে তার স্বামীকে এবং ভাবিকে কুপিয়ে মেরে ফেলে। এরপর তাকেও মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে। ইউনুসের সাথে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ ছিলো বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন জানান, পার্শ্ববর্তী বাড়ির সাথে পরিবারিক পরকীয়ার বিষয়ের জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কবির হোসাইন/এজে/দীপ্ত সংবাদ