বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, গণতন্ত্রের ভাষা হচ্ছে মানুষ যাকে পছন্দ করবে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। পিআরের ভাষা হচ্ছে মার্কার মধ্যে ভোট দেবে, কে এমপি হবে কেউ জানে না।
শনিবার (২৩ আগস্ট) কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা বিএনপির দ্বি–বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পিআরে গণতন্ত্র নেই। কেউ কেউ এখনো পিআর–পিআর বলে চিৎকার করছে, উদ্দেশ্য কিন্তু পিআর না, উদ্দেশ্য হচ্ছে পিআর পিআর করে যদি কিছু পায়। যারা চিৎকার করছেন আপনারা আসুন, আলোচনা করি, কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এদেশের মানুষ ১৬ বছর ধরে রক্ত দিয়েছে ভোটের অধিকারের জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য, সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের জন্য। সে সমস্ত অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে রাজনীতি ছিল কারাগারে। রাজনীতি নির্বাসিত ছিল লন্ডনে, রাজনীতি নির্বাসিত ছিল শিলংয়ে। বাংলাদেশকে করদ রাজ্য করার জন্য শেখ হাসিনা সবকিছু করেছেন। গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছেন। নিশিরাতের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকে নির্বাসিত করেছেন। গণতন্ত্রকে কারাগারে আটকে রেখেছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের মৌসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা হয়ে গেছে। নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের শুরুতে ঘোষণা হবে, ইনশাআল্লাহ। আপনারা এখন প্রতি ঘরে ঘরে যাবেন, ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইবেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই প্রমাণ করেছেন তিনি এই দেশের লোক না। আওয়ামী লীগ নিজেরাই প্রমাণ করেছে তারা এদেশের কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না। তারা অন্য একটি দেশের অন্য একটি দলের অঙ্গ সংগঠন ছিল বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছিল একটা মাফিয়া শক্তি, আওয়ামী লীগ ছিল একটা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, আওয়ামী লীগ ছিল একটি ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেই বলতো, দেশদ্রোহী। কেউ বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলেই বলতো একে সাইবার সিকিউরিটি আইনে গ্রেপ্তার করো। তারা কথা বলার অধিকার বন্ধ করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বন্ধ করেছে। আওয়ামী লীগের ডিএনএতেই গণতন্ত্র নেই। আর যেন শেখ হাসিনার মতো কোনো ফ্যাসিস্টের উত্থান না হয় তার জন্য গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।