আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনা শহরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৮ জন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের হয়েছে। এতে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাততে প্রধান করে ১৫ জনের নাম এবং ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
ঘটনার ৪ দিনের মাথায় মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে দীপ্ত টিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা।
তিনি জানান, ‘আজ রাতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এতে ১৫ জনের নাম এবং অজ্ঞাত ৭–৮ জন আছেন। ঘটনার এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তারা বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে আছেন। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা বাস টার্মিনালের মাসুম বাজারের সামনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগকর্মী মিলন, শান্ত, আকাশ, আরাফাত, সজীব, তানজিদ, রঞ্জু ও রাফি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি পাবনা মহিলা কলেজের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সভাপতি মেহেদী হাসান এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। পাশাপাশি অফিস হওয়ায় রাত ১০টার দিকে মেহেদী গ্রুপের লোকজন সিফাতের অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে মেহেদী গ্রুপের ৮ জন গুলিবিদ্ধ হোন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘সিফাতের লোকজন মেহেদীর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা চলছিল। আমরা বারবার গিয়ে সমাধান করলেও কয়েক দিন পর আবারও তারা ঝামেলায় জড়ায়।
তবে আগে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত। তিনি বলেন, ‘আমি আমার অফিসের মানে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলাম। এ সময় হঠাৎ ২০–৩০ জন লোক নিয়ে মেহেদী আমার ওপর হামলা করে গুলি করে। এতে আমি কোনো মতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।
শামসুল আলম/ আল/ দীপ্ত সংবাদ