পাকিস্তানে ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় গত ১৫ দিনে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৫১ জন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ছয়জন। গত ২৫ জুন থেকে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণ এখনও অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন অন্তত ৬ জন। এর মধ্যে ৩ জন সিন্ধ প্রদেশের এবং বাকি ৩ জন পাঞ্জাবের। এই সময়ের মধ্যে আরও অন্তত ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
তবে সবমিলিয়ে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে ৮৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পাঞ্জাবেই মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রদেশটিতে ৫২ জন মারা গেছেন। এরপর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন খাইবার পাখতুনখোয়ায়। প্রদেশটিতে মারা গেছেন ২০ জন। এর বাইরে বেলুচিস্তানে ৬, সিন্ধে ৫ এবং আজাদ কাশ্মীরে তিনজন মারা গেছেন। এদিকে, প্রাণ হারানো ৮৬ জনের মধ্যে ৩৭ শিশু রয়েছে।
এনডিএমএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ১৫১ জন নানাভাবে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ, ৪৩ জন নারী এবং ৫২ শিশু। এছাড়া বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৯৭টি ঘর ভেসে গেছে। এনডিএমএ কর্তৃপক্ষ বন্যার পূর্বাভাসে বলেছে, রাভি নদীর তীরবর্তী জাসার জেলায় বন্যার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি চেনাব নদীর অববাহিকায়ও বন্যার মধ্যম মাত্রার ঝুঁকি রয়েছে।
এনডিএমএ চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইনাম হায়দার জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত বছরের মতো বন্যা এবার পাকিস্তানে হলে দেশটির ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে এনডিএমএ।
আফ/দীপ্ত নিউজ