পটুয়াখালীর দুমকিতে হাত, পা ও মুখ বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ঝলসে দেয়া গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীমের (২০) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মীমের মামা ফারুক হাওলাদার।
এ ঘটনায় সকালে ফারুক হাওলাদার বাদী হয়ে দুমকি থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা করার পরপরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মীমের শ্বাশুরি পিয়ারা বেগম (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুমকি সাতানী গ্রামের বাসিন্দা প্রিন্স ও মীম দম্পত্তি চলতি মাসের ২ জুন উপজেলার শাহজাহান দারোগার ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।
গতকাল বিকেলে দুই মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাদের ঘরে প্রবেশ করে মীমের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তাদের ঘর বাহির থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে মীমের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায় এবং তার শিশু সন্তান ওয়ালিদের শরীর আংশিক পুড়ে যায়। এসময় স্বামী প্রিন্স বাসায় ছিলোনা।
দুমকি থানার ওসি আবুল বাসার জানান, এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে।
মো.ইমরান/এমি/দীপ্ত নিউজ