জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ৩২ ধানমন্ডি এর সামনে ’৭৫–এর ১৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৭ জুন) এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে বুধবার ভোরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরুল ইসলাম খান। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ৫০তম স্বাক্ষী।
নুরুল ইসলাম খানের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদ খান জানান, তার বাবা বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। বাদ আসর সিএমএইচ মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খান ১৯৩০ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার নয়নশ্রী ইউনিয়নে রাহুতহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশে বিভাগে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে এসপি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবনে নূরুল ইসলাম খানের পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবার পরিজনদের নৃশংসভাবে হত্যার পর আহত অবস্থায় ধানমন্ডি থানায় প্রথম বঙ্গবন্ধু হত্যার ডায়েরি করেন নুরুল ইসলাম খান। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম সাক্ষী দেয়ার জন্য তার ওপর দুইবার আক্রমণ হয়। প্রথমবার আক্রমণে পুলিশের জিপে দুর্ঘটনা ঘটানো হয় সেখান থেকে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু পরবর্তী সময় ১৯৯৯ সালে সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা গাজীপুরে তার ওপর আক্রামণ চালায় এবং ইট দিয়ে মাথা থেতলে দেয়। ২১ দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
তার লেখা বই মুক্তিযুদ্ধ এবং আমি এক যুগান্তকারী রচনা।
আল/দীপ্ত সংবাদ