নিম্নমানের খাদ্যপণ্য উৎপাদন, আমদানি এবং বাজারজাত করার অভিযোগে নেসলে বাংলাদেশ এবং মেঘনা গ্রুপের তিন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
এদের মধ্যে নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিপাল আবে বিক্রমা, পাবলিক পলিসি ম্যানেজার রিয়াসাদ জামান এবং মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসানের করা দুই মামলায় এই আদেশ দিয়েছে ঢাকার নিরাপদ খাদ্য আদালত।
নেসলে বাংলাদেশের চকলেট কোটেড ওয়েফার কিটক্যাটের বিষয়ে মি. হাসান আবেদনে যে অভিযোগ করেছেন সেটি হলো, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ও প্রত্যয়ন ছাড়াই এই ওয়েফার চকলেট দেশে বাজারজাত করা হচ্ছে।
একইসাথে এই দুগ্ধজাত পণ্যের দুইটি অংশ ওয়েফার বিস্কুট ও তার ওপরের চকলেটের আবরণে থাকা বিভিন্ন উপাদান নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেক কম বা বেশি রয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত মানদণ্ড পরিমাপ করতে এই পরীক্ষা একটি সরকারি খাদ্য নিরাপত্তা গবেষণাগারে করা হয়েছে।
অন্য আরেকটি মামলায়, বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন মেঘনা সুগার রিফাইনারির বিরুদ্ধে নিম্নমানের চিনি প্রস্তুতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই কোম্পানির চিনিতে চিনির মাত্রা কম অর্থাৎ অনুমোদিত মাত্রার বেশি সুক্রোজ পাওয়া গেছে। এছাড়া চিনিতে সালফার ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা থাকার কথা নয়।
নিরাপদ খাদ্য আদালত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই দুই মামলার প্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে।
আগামী ১৫ই ডিসেম্বর এই মামলা দুইটির পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।
তবে, প্রতিষ্ঠান দুইটির সাথে যোগাযোগ করলে তাদের মুখপাত্ররা আনীত অভিযোগের সত্যতা নেই বলে দাবি করেছেন বিবিসি বাংলার কাছে।
ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খাদ্য পরিদর্শকের মামলাতে ঠিক কি কি অভিযোগ আনা হয়েছে? অভিযোগ নিয়ে কী বলছে প্রতিষ্ঠানগুলো?
সূত্র: বিবিসি বাংলা