সম্প্রতি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম খুললেই আপনার চোখে পড়বে লাল, সাদা বা অন্য কালার শাড়ি পরিহিতা নারীর ছবি। কপালে টিপ, মাথায় ফুল। অথবা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর থ্রি–ডি মূর্তি এবং তার পাশেই ক্যানভাসে আঁকা তার ছবি।
স্যোশাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল এসব ছবির বেশিরভাগই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি। প্রথম ট্রেন্ডের নাম ‘গুগল জেমিনি’ –এর ‘ন্যানো ব্যানানা এআই শাড়ি‘ এবং দ্বিতীয়টার নাম ‘ন্যানো ব্যানানা থ্রি–ডি ফিগারিন’ (থ্রি–ডি মূর্তি)।
এই ট্রেন্ডের মাধ্যমে যেকোনো সাধারণ সেলফি মুহূর্তে পরিণত হবে নব্বইয়ের দশকের বলিউড স্টাইলে শাড়ি পরা ফিল্মি পোর্ট্রেটে।
ভারতে তো বটেই, এই ট্রেন্ড থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশ সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমও। ঠিক যেমনটা কিছুদিন আগে ‘ঘিবলি আর্ট‘-এ মজেছিল নেট দুনিয়া। জাপানি অ্যানিমেশন স্টুডিও ‘স্টুডিও ঘিবলি‘ থেকে অনুপ্রাণিত ছিল সেই ট্রেন্ড।
তবে এই মুহূর্তে সামাজিক মাধ্যম দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নয়া ট্রেন্ড। যার নেপথ্যে রয়েছে গুগলের জেমিনি ন্যানো ব্যানানা ইমেজ জেনারেটিং টুল।
এরকম ছবি পেতে হলে ব্যবহার করতে হবে ‘প্রম্প্ট’ বা ইন্সট্রাকশন। যেমন শাড়ির রঙ কী হবে, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে কী থাকবে, আলো কেমন হবে ইত্যাদি। তারপর আপনার ছবি আপলোড করলেই ‘ন্যানো ব্যানানা ইমেজ জেনারেটর‘ ওই ‘প্রম্প্ট‘ অনুযায়ী নতুন বানিয়ে দেবে।
‘ন্যানো ব্যানানা’ কী?
গুগল জেমিনাই–এর সাম্প্রতিক এআই মডেলের মধ্যে একটা ‘ন্যানো ব্যানানা’ যা ইমেজ জেনারেট করতে পারে।
প্রযুক্তিবিদ সৌম্যক সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘বিভিন্ন ধরনের এআই মডেল রয়েছে এবং এদের ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ন্যানো ব্যানানা নামক মডেল এআই ইমেজ জেনারেট করতে পারে। তার জন্য তাকে কিছু প্রম্প্ট দিতে হয়।’
প্রম্প্ট হলো ইন্সট্রাকশন। সহজভাবে বলতে গেলে, এআই মডেলকে আরো নির্দিষ্ট ভাবে ইন্সট্রাকশন দিলে সেই অনুযায়ী সে কাজ করে। যেমন ছবিতে শাড়ি কী রঙের, চুল কেমন, ব্যাকগ্রাউন্ড, লাইটিং কেমন হবে ইত্যাদি। প্রম্প্ট যত বিস্তারিত এবং নির্দিষ্ট হবে কাজ তত নিখুঁত হওয়ার সম্ভাবনা।
‘চ্যাটজিপিটি’–র মাধ্যমেও এআই ইমেজ তৈরি সম্ভব। তবে ‘ন্যানো ব্যানানা’ নির্দিষ্টভাবে এআই ইমেজ জেনারেট করার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
মি. সেনগুপ্ত বলছেন, ‘থ্রি–ডি ফিগারিন এবং এআই শাড়ি এই দুই ট্রেন্ড এই মুহূর্তে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দু‘টোর প্রম্প্ট আলাদা।’
এসএ