নির্বাচনের পরিবেশ ও ভোটগ্রহণের পদ্ধতি দেখে সন্তুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। ভোটারদের সাথে কথা বলেও আশ্বস্ত হয়েছেন তারা। বিএনপি অংশ নিলে নির্বাচন আরও ভালো হতো বলেও মনে করছেন অনেকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নির্বাচন পর্যবেক্ষনে আসা বিদেশিরা।
ফিলিস্তিনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাসিম খুহয়াইল বলেন, ‘ভোটারদের সাথে কথা বলে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, ভোটকেন্দ্রে আসতে কোনো ধরনের চাপ বা ভয়–ভীতির মুখে পড়েননি তারা‘।
আর সাউথ এশিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পাউলো কাসাকার বলেন, নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া বিরোধী দলের ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো। প্রধান বিরোধী অংশ নিলে নির্বাচন আরও অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর হতো।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে, তাই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না, রাশিয়ার পর্যবেক্ষক দলের নেতা আন্দ্রেই সুতভ।
তিনি বলেন, ‘ভূ–রাজনৈতিক কিছু ব্যাপারে পশ্চিমা কোন কোন দেশ অসন্তুষ্ট, তাতে নির্বাচন অবৈধ হয়ে যাবে না। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক তা চায় না অনেক দেশ।‘
বাংলাদেশ সরকারকে স্বাগত জানিয়ে ওআইসির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রধান শাকিল মাহাবুব ভান্দর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ও ভোটগ্রহণের পদ্ধতি সন্তোষজনক। গণতন্ত্রের প্রতি এদেশের মানুষের শ্রদ্ধা রয়েছে। ভোটারদের প্রভাবিত করা হয়নি।
পর্যবেক্ষকদের ব্রিফং শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, পশ্চিমারা কী ভাবলো তা দিয়ে কিছু যায় আসে না। পর্যবেক্ষরা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট।
এর আগে সারাদিন ১২৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ও ৭৩ জন বিদেশি সাংবাদিক, বিভিন্ন জেলায় ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেন।
এসএ/দীপ্ত নিউজ