নরসিংদী শহরতলীর ঘোড়াদিয়া এলাকায় নিজ স্ত্রী এবং ছেলে সন্তানকে জবাই করে হত্যার দ্বায়ে ফখরুল ইসলাম (২৯) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ( ১৮ মে ) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ–১ আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নিজ স্ত্রী রেশমী আক্তারের উপর যৌতুকের টাকা দাবী করে প্রায়শই নির্যাতন করতো স্বামী ফখরুল ইসলাম। এরই জের ধরে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঘোড়াদিয়া এলাকার নিজ ঘরে স্ত্রী রেশমী আক্তার (২৫) এবং তাদের ১৬ মাস বয়সের পুত্র সন্তান ফাহিম মাহমুদ সালমানকে গলা কেটে হত্যা করে।
এসময় তাদের গুঙ্গানোর শব্দশুনে পাশের রুমে থাকা ফখরুলের ভাই দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে রেশমী আক্তার এবং তার ছেলে ফাহিমের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। এসময় ফাহিম পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। এঘটনা ওই দিনই নিহতের বাবা পারভেজ মিয়া বাদী হয়ে ফখরুলকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার একমাত্র আসামী ফখরুলকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এএনএম অলিউলাহ জানান, ১১জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের ভিত্তিতে খুব দ্রুত সময়ে বিজ্ঞ আদালতের দেয়া এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট, এ মামলার একমাত্র আসামী ছিলেন ফখরুল।
উলেখ্য পারিবারিক ভাবে পৌর শহরের দত্তপাড়া মহলার পারভেজ মিয়ার মেয়ে রেশমী আক্তারের সাথে বিয়ে হওয়ার দুই বছরের মধ্যে এই নির্মম হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। আসামীর পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় রাষ্ট্র কর্তৃক আইনজীবী নিয়োগ পান আসামী ফখরুল।
আল/দীপ্ত সংবাদ