নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে দেশের আর প্রাণ থাকবে না। নৌপথ খননের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন, এখন দেশে প্রায় ৮০টি ড্রেজার আছে। নদীর প্রবাহ ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। যারা নদী দখল করেছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। যাচাই বাছাই চলছে। দখলদারদের হাতে নদী থাকবে না, উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১০ মার্চ) রূপসা সেতুর নিচে টোলঘাটে সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধানের ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তখন সে এসব কথা বলেন তিনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশকে আমরা প্রবহমান নদীর দেশে রূপান্তরিত করবো। গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমরা নদী উদ্ধার করতে পেরেছি এই জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পুরো দেশে পরছে। উত্তরাঞ্চল মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। পানির স্তর কমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।
সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এবং শিশু সংগঠন ‘ইকরিমিকরি‘ সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন্য কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ১০০ নদীর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও টেকনাফে। আলোকচিত্র প্রদর্শনীগুলোর সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিআইডব্লিউটিএ‘র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধান, অনুষ্ঠান সমন্বয়ক মাসুম মাহমুদ।
যূথী/দীপ্ত