স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)। নতুন এই দাম আগামীকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে সারাদেশে কার্যকর হবে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং এন্ড প্রাইস মনিটরিং–এর এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১৮ হাজার ১১৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৮ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ১৪ ডিসেম্বর থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৮৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৬০ বার, আর কমেছে মাত্র ২৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৭৯৯ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্বর্ণ ও রৌপ্যের নির্ধারিত বিক্রয় মূল্যের সাথে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৫% ভ্যাট এবং বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম ৬% মজুরি বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে এই নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে বাজুস।