মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫

দেশের নারীর ক্ষমতায়নের পথপ্রদর্শক খালেদা জিয়া

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

১৯৮০এর দশকের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া আশার আলো হয়ে আবির্ভূত হন। পরবর্তীকালে বাংলাদেশকে রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থা থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রে রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

দীর্ঘ সময় নানা বাধা ও প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় নির্বাচিত নারী সরকারপ্রধান হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখান।

নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে অবদানের জন্য তিনি ২০০৫ সালে বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী’ তালিকায় স্থান পান, যেখানে তিনি ২৯তম স্থানে ছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯০এর দশকে প্রমাণ করেছেন যে, নারী নেতৃত্ব শুধু দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সম্ভবই নয়, বরং এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পুরুষশাসিত সমাজকেও পাল্টে দিতে পারে।

তাঁর যাত্রা কেবল অর্জনের গল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বেগম খালেদা জিয়ার চার দশকের রাজনৈতিক জীবন সংগ্রাম, গণআন্দোলন, নির্বাচনী জয়, রাজনৈতিক দমন এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তরে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা মাধ্যমে চিহ্নিত।

১৯৮০এর দশকের শুরুতে সামরিক শাসনের কঠিন সময়ে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যার পর বিএনপির ভেতরে ও সামরিক মহলে তার নেতৃত্ব ঠেকানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু দলের সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে তিনি ধীরে ধীরে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন।

সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমেদ ‘চলমান ইতিহাস : জীবনের কিছু সময় কিছু কথা’ বইয়ে লিখেছেনশাসক গোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ভয় ছিল খালেদা জিয়া। কারণ, তাঁকে তাঁর স্বামীর সবচেয়ে শক্তিশালী উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

তিনি নিজে রাজনীতিতে প্রবেশের কোনো ইচ্ছা পোষণ করেননি। কিন্তু বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জোর দিয়ে বলেন, তার নেতৃত্ব ছাড়া দল ভেঙে পড়বে। ধীরে ধীরে তিনি রাজি হনমূলত বিএনপিকে রক্ষা ও ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য।

১৯৮২ সালের জানুয়ারিতে তিনি নীরবে দলের প্রাথমিকস সদস্যপদ গ্রহণ করেন। একই বছরের নভেম্বরে তিনি স্বামীর সমাধিস্থলে প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। সেই মুহূর্ত থেকে তাঁর উত্থান ধারাবাহিক ও অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। এক বছরের মধ্যেই তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইসচেয়ারপারসন, পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হন।

১৯৮৪ সালের ১০ মে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হনযা তার রাজনৈতিক জীবনের প্রকৃত সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হয়।

১৯৮০এর দশকের এরশাদবিরোধী আন্দোলন জুড়ে খালেদা জিয়া এক শান্ত স্বভাবের বিধবা থেকে ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক প্রতিরোধের অন্যতম শক্তিশালী কণ্ঠে পরিণত হন।

একাধিকবার তাকে আটক করা হলেও তিনি কখনো পিছিয়ে যাননি। রাজনীতিতে প্রবেশের মাত্র দশ বছর পর আর ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

সেই মুহূর্তটি চিন্তা করুন: ১৯৮০এর দশক, সামরিক একনায়কতন্ত্র তার দখল শক্তিশালী করছে, আর ঠিক সেই সময়ে একজন নারী এগিয়ে আসছেন এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করছেন।

১৯৯২ সালে যখন তিনি প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তখন অনেকে বলেছিলেন, তিনি দেশ পরিচালনায় যথেষ্ট সক্ষম নন। কিন্তু তিনি সক্ষমতা প্রমাণ করেছিলেন।

১৯৯২ সালের সংসদ শুধু প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন সংসদই ছিল না, বরং বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সফল সংসদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি দক্ষতার সঙ্গে ইসলামপন্থি ও প্রগতিশীল গোষ্ঠীর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেছিলেন।

পরবর্তীতে তিনি তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলো পার করে। ১৯৯৩ সালে তিনি প্রথম নারী হিসেবে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন, যা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করে।

বেগম জিয়া : একজন অপ্রতিরোধ্য নেতা—

বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক যাত্রা শুধু তার উত্থান দিয়েই সংজ্ঞায়িত নয়, বরং সবচেয়ে কঠিন সময়ে তার অসাধারণ আপসহীন অবস্থান দিয়েও চিহ্নিত। ১৯৮৬ সালে জেনারেল এরশাদ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়াই রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন। সে সময় আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীসহ বড় দলগুলো প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও খালেদা জিয়া একাই দৃঢ় অবস্থান নেন

খালেদা জিয়া একাই দৃঢ় অবস্থানে ছিলেন। তিনি প্রস্তাবটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পূর্ণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনো নির্বাচন বৈধ হতে পারে না। দুই দশক পরে, /১১ সময়কালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁকে ও শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করার জন্য ‘মাইনাসটু ফর্মুলা’ প্রয়োগের চেষ্টা করে, তখনও খালেদা জিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেন।

তিনি দেশ ছাড়ার সব ধরনের চাপ প্রত্যাখ্যান করেন, যদিও শুরুতে শেখ হাসিনা সম্মতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এই অস্থির সময়জুড়ে তিনি দৃঢ় ছিলেন যে, তার রাজনৈতিক ম্যান্ডেট জনগণের কাছ থেকে এসেছে, কোনো বাহ্যিক শক্তি থেকে নয়। আবার ২০০৮ সালে, যখন লন্ডনে চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকার সুযোগ ছিল, তখনও তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেনযদিও স্পষ্টভাবে সতর্ক করা হয়েছিল যে দেশে ফিরলে তাকে কারাবরণ করতে হবে।

তার সিদ্ধান্ত ছিল অটল: তিনি বাংলাদেশ থেকে কোথাও যাবেন নাতিনি দেশের জনগণের সাথে থাকবেন, আর জনগণও তার সঙ্গেই ছিল। তার রাজনৈতিক জীবন সবসময় একটি মূল বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করেছেনিজের আদর্শ, দল এবং দেশের প্রতি আপসহীন অঙ্গীকার।

বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন ফার্স্ট লেডি, একজন রাজনীতিক, একজন জাতীয় নেতাকিন্তু সর্বোপরি তিনি ছিলেন দুই সন্তানের জননী। একজন মা হিসেবে তাকে গভীর কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। তার ছেলে আরাফাত রহমান ‘কোকো’এর মরণব্যাধির সময়ে তাকে পাশে থাকতে দেওয়া হয়নি। তিনি তাকে দেখতে পেয়েছিলেন কেবল মৃত্যুর পর। অন্য ছেলে তারেক রহমান দীর্ঘদিন লন্ডনে বাধ্যতামূলক নির্বাসনে ছিলেন, মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে। যে কোনো মুহূর্তে তিনি দেশ ছাড়তে পারতেন এই অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেকিন্তু তিনি থেকে গেছেন, নিজের আপসহীন আদর্শ ও বাংলাদেশের প্রতি অঙ্গীকার আঁকড়ে ধরে।

কিছুই তাকে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তিনি শুধু একজন নারী নেতা ছিলেন নাতিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে বাংলাদেশের নারীরাও নেতৃত্ব দিতে পারে।

নারীর ক্ষমতায়ন—

নারীর ক্ষমতায়নের ভিত্তি প্রথম স্থাপন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন, সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় নারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটা চালু করেন এবং পুলিশ ও স্থানীয় সরকার কাঠামোতে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করেন। এসব পদক্ষেপ নারীদের জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসে।

বেগম খালেদা জিয়া সেই ভিত্তিকে সম্প্রসারিত করে জাতীয় রূপান্তরে পরিণত করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনগত অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বে সবচেয়ে ব্যাপক উদ্যোগগুলোর কিছু চালু করেন।

তার যুগান্তকারী ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম(১৯৯৪)’ গ্রামীণ মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা বিনামূল্যে করে দেয়—ফলে ভর্তি বৃদ্ধি পায়, বাল্যবিবাহ কমে যায়, জন্মহার হ্রাস পায় এবং লক্ষ লক্ষ মেয়েদের জন্য নতুন অর্থনৈতিক অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তিনি প্রাথমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করেন ‘ফুডফরএডুকেশন প্রোগ্রাম’ এবং পরবর্তীতে ‘প্রাইমারি এডুকেশন স্টাইপেন্ড প্রোগ্রাম’ চালুর মাধ্যমে।

তার দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি ‘হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন সেক্টর প্রোগ্রাম চালু করেন, যা মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করে এবং মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনে। তিনি ১৯৯৫ সালে ‘বেগম রোকেয়া’ পদক প্রবর্তন করেনযা বাংলাদেশের নারীদের জন্য অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মাননা।

সংসদে নারীর সংরক্ষিত আসন ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করেন, ফলে জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর প্রতিনিধিত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। নাগরিক প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও জাতীয় রাজনীতিতে নারীর ভূমিকা অভূতপূর্ব মাত্রায় সম্প্রসারিত হয়।

তার সরকার ধর্ষণ, অ্যাসিড সন্ত্রাস ও যৌতুকের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করেযেখানে শাস্তি দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড থেকে শুরু করে গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।

তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য নারী কোটা চালু করেন, ফলে মেয়েদের ভর্তি নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। তিনি ‘ন্যাশনাল ফোরাম ফর উইমেন’ এর মাধ্যমে নারীর অধিকারকে শক্তিশালী করেন এবং পুলিশ বাহিনীতে নারীর অন্তর্ভুক্তি পুনরায় চালু করেনযা প্রথম শুরু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

এছাড়াও তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় থাকে। তিনি রাজনীতিতে শিষ্টাচার বজায় রেখেছেন এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থেকেছেন। বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভিন্ন দলকে একত্রিত করার ক্ষমতার জন্য তিনি কখনো কখনো ‘সব দলের নেতা’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি জাতিসংঘে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৯২ সালে হোয়াইট হাউসে তিনি রোহিঙ্গা সংকটকে বৈশ্বিক মনোযোগের কেন্দ্রে নিয়ে আসেনফলে ১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সম্মত হয়।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার অবদান খাটো করার চেষ্টা সত্ত্বেও তাদের সংস্কার আজও বেঁচে আছেমেয়ে ভরা শ্রেণিকক্ষে, নারী নেতৃত্বাধীন কর্মক্ষেত্রে, স্থানীয় সরকারে, পুলিশ বাহিনীতে, সংসদে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেযেখানে বাংলাদেশের নারীরা আজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে।

ইতিহাস কখনোই সেই পরিবর্তন মুছে দিতে পারে না, যা ইতোমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে রূপান্তরিত করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, কিন্তু সেটিকে জনগণের হৃদয়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।

এমনকি আজ ২০২৫ সালে, যখন কেউ কেউ এখনো বিতর্ক করে যে নারীরা রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতে পারে কি না বা তা ধর্মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি নাআমাদের শুধু মনে করতে হবে খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে যা প্রমাণ করেছিলেন, একজন নারী শুধু প্রধানমন্ত্রীই হতে পারেন না, তিনি গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকাও হতে পারেন।

একজন গৃহিণী থেকে দেশের নির্বাচিত নেতা হয়ে ওঠা বেগম খালেদা জিয়া কেবল একটি নাম নয়. তার রাজনৈতিক জীবন বাংলাদেশের আধুনিক ইতিহাসের এক সংজ্ঞায়িত অধ্যায়।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More