আজ বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী। সকালে চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে ত্রিনয়নী দেবীর প্রতিমায় ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ হয়। সপ্তমী তিথিতে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমী বিহিত পূজা প্রশস্তা হয়। এরপর অঞ্জলি প্রদান করেন পূজার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকেই সবগুলো পূজামণ্ডপে শুরু হয় পূজার কার্যক্রম। এদিন থেকেই মূলত মন্দির গুলোতে ভিড় করতে থাকেন ভক্তরা। শাস্ত্র মতে, মহাসপ্তমীতে মহাপূজা হয়। এই তিথিতে খুব সকালে একটি কলা গাছ গঙ্গার জলে স্নান করিয়ে, এটিকে নববধূর মতো নতুন শাড়ি পরানো হয়।
উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ষষ্ঠীপূজা। এর মধ্যদিয়ে শুরু হয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
ঢাকা ও সারা দেশের সব মন্দিরে প্রায় কাছাকাছি সময়ে শুরু হয় সপ্তমীর আয়োজন। এ সময় ঢাকঢোলের বাজনা, কাঁসা, শঙ্খের আওয়াজ এবং ভক্তদের উলুধ্বনির মাধ্যমে দুর্গার আরাধনা করা হয়।
প্রতিবারের মতো এবারও প্রস্তুত করা হয়েছে মহামায়া দেবী দুর্গাসহ লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশসহ বিভিন্ন দেব–দেবীর প্রতিমা। সন্ধ্যায় ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য বাহারি সব রং দিয়ে সাজানো হয়েছে এসব প্রতিমা।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ