বইমেলা কিংবা গ্রন্থমেলা শব্দ দুটির যেকোনো একটি শুনলেই স্মৃতির মানসপটে ভেসে ওঠে বাংলা একাডেমী আয়োজিত একুশে বইমেলা। যে মেলা বইপ্রেমী মানুষের প্রাণে দোলা দেয়।
সেই বইমেলা আবারও দুয়ারে কড়া নাড়ছে। তাই শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা এখন রাজধানীর বাংলাবাজারের ছাপাখানাগুলােয়। কােথাও চলছে মলাটের কাজ, কােথাও বা ভেতরের পাতা ছাপানো হচ্ছে। কাজ শেষে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে থরে থরে। নতুন বই ছাপানো আর পুরোনো বইয়ের সংস্করণের কাজে ব্যস্ত সময় কাটছে প্রকাশকদের।
হাতে হাতে স্মার্ট ফোনের যুগে ছাপার অক্ষরের বইয়ের চাহিদা কমে যাবে এমন আলােচনা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু না সে আবেদন কমেনি এতটুকু। পাঠকের মনের সে আবেদন অনেকটাই পূরণ করে অমর একুশে গ্রন্থমেলা।
আরও পড়ুন: বাংলা ভাষাকে এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে; প্রধানমন্ত্রী
তবে, লেখক অনেক থাকলেও মানসম্মত বই কম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান প্রকাশকরা।
করোনার পরে বইয়ের ব্যবসায় বড় ধাক্কা আসে ২০২২ সালে হঠাৎ করে কাগজের দাম বাড়ায়। এতে বেড়ে যায় বইয়ের দামও। আর বিদেশ থেকে কালি, প্লেটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম আনার ফলে এ বছরও বাড়তি দাম থাকবে।
মাসব্যাপী একুশে বইমেলার এবারের আয়োজক ও ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করছে বাংলা একাডেমি। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও প্রতিষ্ঠানটি স্টল তৈরি করাসহ বইমেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে বাংলাদেশ বইমেলা
এসএ/দীপ্ত নিউজ