বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৪

দুবাইয়ের জনপ্রিয় ব্যবসা উটের ক্লোনিং

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

একটি স্ত্রী উট থেকে ভ্রুণ সংগ্রহ করে প্রজনন হার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উটের মধ্যে সেই ভ্রুণ স্থাপন করা হয়। রিপ্রোডাক্টিভ বায়োটেকনোলাজি সেন্টারে ২০১৭ সালে যেটির সফল একটি পরীক্ষা হয়েছিল। তখন প্রথম ব্যাকট্রিয়ান উটের বাচ্চার জন্ম দেওয়া হয়।

উটের ক্লোনিংই বড় একটি ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে দুটি বিষয় মুখ্য একটি হচ্ছে উটকে আরব আমিরাতে সাংস্কৃতিক প্রতীক একই সঙ্গে সৌন্দর্যের প্রতিলিপি বলে বিবেচনা করা হয়।


গৃহপালিত প্রজাতিকে ব্যবহার করা হবে ডিম্বাণু দাতা ও সারোগেট মা হিসেবে। সারোগেট মা ক্লোন করা ভ্রুণ থেকে জন্ম দেবে বাচ্চার। বিশ্বের প্রথম ক্লোন উটের নাম হলো ‘ইনজাজ’।


ওয়ানি যিনি প্রথম উট ক্লোনিং করেছিলেন তিনি বর্তমানে দুবাইয়ের রিপ্রোডাক্টিভ বায়োটেকনোলজি সেন্টারের বৈজ্ঞানিক পরিচালক। ওয়ানি এবং সঙ্গে রয়েছে তার গবেষণা দল।


তারা নতুন ক্লোনিং কৌশল বিকাশ এবং সেল ব্যাঙ্কগুলি বজায় রেখে মহিষ এবং ভেড়া সহ প্রাণীর অনুলিপি বা ক্লোনিং করেন। তবে তাদের গবেষণাগারের মূল টার্গেট থাকে উটের ক্লোনিং।


এখানে একটি বড় বিষয় হচ্ছে সিলিকন এবং ফিলার দিয়ে উটকে ইনজেকশন দিয়ে এদের চেহারা উন্নত করতে রাবার ব্যান্ড ব্যবহার করে শরীরের অঙ্গগুলি ফুলিয়ে দেওয়ার মতো নিষিদ্ধ প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য মালিকদের অতীতে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে প্রতিযোগিতায় ক্লোন করা উট পুরোপুরি বৈধ। যার কারণে প্রতিযোগিতায় উদ্বুদ্ধ হতে এই ক্লোনিং উটের প্রতি ঝুঁকছেন উট মালিকরা।


স্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সবচেয়ে সুন্দর উটের ক্লোনিং করতে খরচ পরবে ৫০ হাজার ডলারের বেশি এবং জয়ী উটের মালিক পায় হাজার হাজার ডলার।
প্রতিযোগিতা ছাড়াও আরব উপদ্বীপের মরুভূমিতে পরিবহন এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনের মাধ্যম হলো উট।
তাছাড়া তেল ও গ্যাসের আগে আরব উপদ্বীপে জীবন টিকিয়ে রাখতে অপরিহার্য অংশ ছিল উট।

অনু/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More