নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও আবুল বাশার বাদশার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে উপজেলার কলাতলি এলাকার বাগানবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটানাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে কাঞ্চন পোরসভার নোয়াগাও গ্রামে উঠান বৈঠক শেষে ফেরার পথে ৮নং ওয়ার্ডে কলাতলির নির্বাচনী ক্যাম্প আইয়ুবের বাগান বাড়িতে যান মোবাইল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা। এসময় প্রতিদ্বন্ধী মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিকসহ তাদের সর্মথকেরা এই এলাকা দিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে ওই গ্রামে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় প্রার্থী মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের ভাই সফিকুলসহ তার সর্মথকেরা উপর প্রার্থী বাদশাকে গালমন্দ করে ও তার ভাজিতাকে মারধর করে। এ সময় বাদশার সর্মথকেরা স্থানীয় কাউন্সিলল আইয়ুবসহ তার লোকজন প্রার্থী মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সর্মথকদের উপর হামলা করে। পরে জগ প্রতিকদের প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সর্মথকেরা অপর মেয়র প্রার্থী বাদশার লোকজনের উপর হামলা করলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দেশিয় অস্ত্রসহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে অনন্ত ১০ জন আহত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সংঘর্ষে ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা। পাশাশাপাশি ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার পরপরই সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন ভোটার উপস্থিতি কমানোর জন্য তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী বাদশা তাকে নির্বাচনী প্রচারনায় প্রতিদিন নানা ভাবে বাঁধা ও হুমকী দিয়ে আসছে। তার ধারা বাহিকতায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে বাদশার দাবি তাদের উপর আগে হামলা করা হয়েছে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর লোকজন।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটারর্নিং অফিসার ইস্তাফিজুল আকন্দ।
গৌতম/ সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ