রাজধানীর গুলশান ক্লাবে সিনেমাটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ফুয়াদ চৌধুরী, প্রযোজক কাজী সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রযোজক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,
প্রধান চরিত্রের অভিনয় শিল্পী ইয়ামিন হক ববি, সাজ্জাদ হোসোইন, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ এবং আরো অনেকে।
এ সময় নির্মাতা সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে জানান, চারপাশ ঘেরা মেঘনা নদী, ঠিক তার মাঝখানে, ছোট্ট একটা দ্বীপের মতো গ্রাম উলানিয়া। শহুরের মেয়ে প্রজ্ঞা এসেছে এই গ্রামে। মনের ভেতর তার মনভাঙার মেঘ, চোখের তারায় মেজাজ হারিয়ে ফেলার ঝিলিক। নাহ, তার একদমই এসব গ্রাম ভালো লাগছে না। কদিন পরেই তার ক্যাম্পাসে আছে অনুষ্ঠান; সেখানে নাচতে চায়…যদিও তার বয়ফ্রেন্ড ব্যাপারটা ভালো চোখে দেখেনি; তাই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে একেবারের কাটাকুটি!
একদিকে ব্রেকআপ, অন্যদিকে গ্রামের নতুন পরিস্থিতিতে খাপ-না-খাওয়ানোয় শহরে ফিরতে চায় প্রজ্ঞা; কিন্তু তখনই সে মুখোমুখি হয় গ্রামের সবচেয়ে পুরনো এক ভবনের। কয়েক শ বছর আগে মগরা যখন আক্রমণ চালাতো উলানিয়ায়; সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে এই ভবন থেকে ছোঁড়া হতো কামানের গোলা। কিন্তু তারচেয়েও বড় কথা হলো…ভবনের মধ্যে প্রজ্ঞা খুঁজে পেলো টেরাকোটা। সেই টেরাকোটায় কী যে সুন্দর ডান্সের ফর্ম! গ্রামে এমন নাচ নাকি নাচতে পারত একজনই নাম তার হাসি!
কিন্তু হাসি তখন দূর এক জায়গায়, বিদেশের এক অখ্যাত পতিতাপল্লীতে, আটকা পড়ে আছে। প্রজ্ঞা তার খবর পায় ঠিকই, কিন্তু হদিস পায় না। ওদিকে হাসিও চেষ্টা করে যায় নিজের এই ইঁদুর জীবন শেষ করার।
এরকম সময়ের মধ্যেই পালাতে পারে হাসি। নানা ঘটনার ভেতর দিয়ে হাসি যখন পালিয়ে আসে তার গ্রামে, প্রজ্ঞা ছুটে যায় তার কাছে। কিন্তু গ্রামের মানুষগুলো প্রজ্ঞার মতো না। দালাল নুরুল আর গ্রামের চেয়ারম্যানের চাপে প্রজ্ঞাকে ‘খারাপ মেয়ে’ হিসেবে প্রতিপন্ন করে সবাই। হাসি আর খুশিকে রাতের অন্ধকারে জোর করে আবার পাচার করতে উদ্যত হয় তারা। তবে এবার বাধা হয়ে আসে প্রজ্ঞা। তার সঙ্গী হয় আদিল। কিন্তু চাইলেই কি আর তারা এতদিনের সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবে? চাইলেই কি ভাঙতে পারবে মানুষের ভ্রান্ত ধারণার ট্যাবুগুলো?
গ্রাম শহরের দুই নারীর শেকল ভাঙার গল্প নিয়ে ফুয়াদ চৌধুরী নির্মাণ করতে যাচ্ছেন সিনেমাটি।
চিত্রনায়িকা ববি বলেন, গল্পের কারণেই এমন একটা সিনেমায় যুক্ত হওয়া। এতো সুন্দর একটা গল্পে আমাকে নেওয়ার জন্য নির্মাতার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। দর্শক ও উপস্থিত সবাইকে বলবো- আমার আগের কাজের মতো এই সিনেমাটিরও পাশে থাকবেন, সাপোর্ট করবেন।
আনোয়ার আজাদ ফিল্ম‘স ও এস জে মোশনস পিকচার্স প্রযোজিত চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন ববি ছাড়াও আরো অভিনয় করবেন সাজ্জাদ হোসোইন, নওশাবা, মোহাম্মদ বারী, মিলি বাশার, ফজলুর রহমান বাবু, জয়শ্রী কর জয়া, শতাব্দী ওয়াদুদ, সানজিদা মিলা, উপমাসহ অনেকে।
জানা গেছে, ‘মেঘনা কন্যা‘ চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন ফাহমিদুর রহমান এবং আহমেদ খান হীরক। শিগগিরই সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে।