গণ–অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে দুই ছাত্র উপদেষ্টা (আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম) অন্তর্বর্তী সরকারে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি বা এনসিপি প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রবিবার (২৫ মে) এনসিপি‘র চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার পথসভা কর্মসূচি শুরুতে নগরের দুই নম্বর গেট এলাকার বিপ্লব উদ্যানে সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত তাঁদের (দুই ছাত্র উপদেষ্টা) যেভাবে এনসিপি সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে, আমরা সে বিষয়ের নিন্দা জানাই। তাঁদের দলীয় পরিচয় করানোর মধ্য দিয়ে ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
পথসভা আয়োজন বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা কী ভাবছি, তা মানুষকে জানানোর জন্য এই কর্মসূচি। একই সঙ্গে মানুষ কী ভাবছে, তা–ও আমরা জানার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার, নতুন সংবিধান, গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচন এবং আহত ও শহীদ পরিবারে পুনর্বাসন—এসব বিষয়কে আমরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করা—এই সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে জনগণের যে মতামত রয়েছে, সেগুলো জানার জন্যই আমরা চট্টগ্রাম দক্ষিণের মধ্য দিয়ে পথসভা শুরু করেছি।
এনসিপি এ নেতা বলেন, ‘পলিসির জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে। আবার যখন সংকট আসে, তখন বিভেদ কাটিয়ে উঠে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। এটাই হচ্ছে আমাদের জাতীয় চরিত্র। ফলে পলিসির জায়গা থেকে বিভেদ–মতপার্থক্য, এ বিষয়গুলো যেমন চলমান রয়েছে, আবার জাতীয় সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সামগ্রিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
দিনব্যাপী আজ চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, দোহাজারী, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে পথসভা করবে এনসিপি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, এনসিপি সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু ও জুবাইরুল আরিফ।
এসএ