ঘনকুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে শীত জেঁকে বসছে দিনাজপুরে। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। এতে আলু, টমেটোসহ বীজতলা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কৃষকরা। বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা।
বৃহস্পতিবার ( ১৪ ডিসেম্বর) সকাল বেলায় সুর্যের দেখা দিলেও সুর্যের তাপ না থাকায় বিকালেই ঠান্ডা বাড়তে থাকে। রাত যত হয় ঠান্ডার মাত্রা ঠিক ততটাই বাড়তে থাকে। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। এতে আলু, টমেটোসহ বীজতলা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কৃষকরা। বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে।
এদিকে, দিনাজপুরে এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। যে কোনো সময় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে এ অঞ্চল।
আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগি সেলসিয়াস। ওইদিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। মঙ্গলবার ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার। শনিবার জেলায় তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং রোববার সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আসাদুজ্জামান দীপ্ত নিউজকে জানান, যে কোনো সময় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে। এতে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে। উত্তর, উত্তর পঞ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় এর প্রভাব পড়বে। থাকবে কুয়াশারও প্রভাব। এ মাসে দুটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে এ এলাকায়।
আরও পড়ুন: শীতে কাঁপছে উত্তর জনপদ
দিনাজপুর সদরের ঘাবুরা আহসানুল সরকার বলেন, ঘনকুয়াশা ও শীতে আলু ও টমেটোসহ চাষে ফসলগুলোতে লেটবাইটসহ নানান রোগের আক্রমণ হয়। শীতের কারণে বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। ফসল উৎপাদনেও বেশ ঝুঁকি পোহাতে হয়।
দিনাজপুর কাসিপুরের কৃষক হায়দার আলী প্রতিবেদককে বলেন, এ এলাকায় আলুর ব্যাপক চাষ হয়। শীতের কারণে আলু নিয়ে চিন্তায় আছি। তবে গত দুদিন ধরে সূর্যের আলোর দেখা মিলছে, এতে কিছুটা স্বস্থি।
সুলতান মাহমুদ/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ