ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর অভিযোগের মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলার অপর পাঁচ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত–১ এর বিচারক মো. মাহবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রি ঝিনাইদহ শহরের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে শত্রুতাবশত হামদহ এলাকার সততা অয়েল মিলের ১০ ড্রাম সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশান আশরাফসহ আরও পাঁচজন। ঘটনাটি জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় সততা অয়েল মিলের মালিক নওশের আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ করেন, যা পরে মামলা হিসেবে রেকর্ড হয় (নম্বর এসটিসি–৮৩/১১)। তদন্ত শেষে পুলিশ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার বিচার চলাকালে অন্যতম আসামি কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মারা যান।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আশরাফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন (১৪ বছর) কারাদণ্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দবির উদ্দিন ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রাশিদুল ইসলাম বলেন, আমরা আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। রায় সন্তোষজনক।
অন্যদিকে মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর ছেলে ও সততা অয়েল মিলসের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ বলেন, রায়ে আমরা আংশিক সন্তুষ্ট। তবে মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা আব্দুল মালেকসহ সহযোগীরা খালাস পাওয়ায় আমরা হতাশ। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
কোর্ট পরিদর্শক মো. মোক্তার হোসেন জানান, আসামিকে আদালতের গারদে রাখা হয়েছে এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।