উচ্চ আয় ও ভালো পরিবেশের কারণে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণ–তরুণীদের। কোরিয়ান ভাষা শিখে ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে, দেশটিতে যেতে চান তারা। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বলছে, উপজেলা পর্যায়ে ৪০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আরও ৫০টি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।
দেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ১০ লাখ কর্মী বিদেশে যাচ্ছেন। তাদের বেশিরভাগই যান সৌদি আবর ও মালয়েশিয়ায়। সরকারের লক্ষ্য নতুন শ্রমবাজার। এক্ষেত্রে এশিয়ার উন্নত দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় শ্রমশক্তি রপ্তানির সুযোগ বাড়ছে।
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড–বোয়েসেলের মাধ্যমে কয়েক ধাপে প্রার্থী নির্বাচনের পর, দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে পারেন দক্ষ কর্মীরা। মূলত স্বচ্ছতা, কম খরচ আর উচ্চ আয়ের সুযোগ থাকায়, কোরিয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে তরুণ–তরুণীদের।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো–বিএমইটির তথ্যমতে, ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন ২৮ হাজার ৬৯৭ জন কর্মী। চলতি বছর সাড়ে ৭ হাজার কর্মীর কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এটি কাজে লাগাতে উপজেলা পর্যায়ে কারিগরী প্রশিক্ষণে জোর দেয়ার কথা জানান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম।
কোরিয়ার যেতে হলে বয়স ১৮ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়া জাপানি ভাষা শিখলে বিনা অভিবাসন ব্যয়ে জাপানেও ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএমইটি।