প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণ ও যুবকরা দেশের মূল চালিকাশক্তি। তারা দেশের পক্ষে জেগে উঠলে কোনো শক্তি তাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। এর প্রমাণ আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় দেখেছি।
সোমবার (১৫ সেম্পেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে আয়োজিত ইউথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড–২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের সামনে নানান চ্যালেঞ্জ থাকলেও তরুণরা তাদের মেধা, যোগ্যতা, সৃজনশীলতা ও কর্মমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে। তিনি দেশ গঠনে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবা কেবল আর্তমানবতার কল্যাণের জন্য নয়, এটি আত্মউন্নয়ন, চরিত্র গঠন ও নেতৃত্ব বিকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তরুণদের এই অভিজ্ঞতা সমাজে নীতি নির্ধারক, উদ্ভাবক ও পরিবর্তনের স্থপতি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে সাহায্য করবে।
ড. ইউনূস বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে তরুণদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হাজারো মানুষের জীবন ও দেশের উন্নয়নে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি তরুণদের আহ্বান জানান, তাদের মেধা, উদ্ভাবনী শক্তি এবং নেতৃত্বের দক্ষতা ব্যবহার করে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে।
তিনি আরও বলেন, তরুণদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একটি উন্নত, মানবিক এবং উদ্ভাবনী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব–উল আলম।
অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে জীবনমুখী ও সৃজনশীল কাজে অসামান্য অবদানের জন্য মোট ১২ জনকে পদক ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা নগদ এক লাখ টাকা, একটি সম্মাননা ক্রেস্ট এবং একটি সার্টিফিকেট পান।
যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে অসাধারণ অবদানের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন বগুড়ার সুরাইয়া ফারহানা রেশমা, মাগুরার মো. আক্কাচ খান এবং নোয়াখালীর মো. জাকির হোসেন। শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ঝালকাঠির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ এবং গাইবান্ধার মো. শাহাদৎ হোসেন।
দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতার ক্ষেত্রে পুরস্কার পেয়েছেন পাবনার মো. দ্বীপ মাহবুব, রাজশাহীর হাসান শেখ, লালমনিরহাটের মো. জামাল হোসেন, কক্সবাজারের নুরুল আবছার এবং রাজশাহীর মো. মুহিন। ক্রীড়া, কলা ও সাংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন সাতক্ষীরার আফঈদা খন্দকার এবং বান্দরবানের উছাই মং মার্মা।