জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহকে নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন করেছে দৈনিক প্রথম আলো। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনের প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজেও।
তিনি বলেন, দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন তাহলে আপনারা এখনও ভুলের জগতে আছেন। এসব তথ্যসন্ত্রাস দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না।
রবিবার (২০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লিখেন, প্রথম আলো আজ শিরোনাম করেছে “হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন“। আমি প্রথম আলোর সেই সাংবাদিককে অনুরোধ করছি আপনি দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি কত বিলাসি জীবনযাপন করি।
দিল্লী থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন তাহলে আপনারা এখনও ভুলের জগতে আছেন। থামার হলে তো সেদিনই থেমে যেতাম। ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ ফেরানোর বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাই রুখে দাঁড়াতাম না।
হাসনাত স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন, থামার হলে আপনাদের মতোই ভারত বা ‘র‘ এদের তাবেদারি করে মন্ত্রী হওয়ার হিসাব করতাম। বিলাসিতাই যদি করতে চাইতাম তাহলে আমার এতো যুদ্ধ করার দরকার ছিল না আপনাদের সাথে মিলে মিশেই বিলাসি জীবন বেছে নিতে পারতাম।
আমি সেটা করিনি এবং করবও না। যতই তথ্যসন্ত্রাস করেন আমি ভারত আর র এর বিরুদ্ধে কথা বলা থামাবো না, আওয়ামী লীগ ফেরানোর কোন উদ্যোগ জীবন থাকতে সফল হতে দিব না।
‘আমি কত বিলাসি জীবনযাপন করি সেটা সবাই জানে‘ উল্লেখ করে এনসিপি নেতা লিখেন, আমার ব্যাংক ব্যালেন্স থেকে শুরু করি ট্যাক্স রিটার্ন সবকিছুই একসেস করা যায়। আপনারাও একসেস করতে পারতেন কিন্তু আপনারা করেননি। চ্যালেঞ্জ করে বলছি গতকালের মিটিংএ আমার এসব বিষয়ে কোন কথাই হয়নি, প্রশ্নও হয়নি। অথচ এত বড় মিথ্যা আমার নামে ছাপিয়ে দিলেন।
আমি আবারও চ্যালেঞ্জ করছি আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করুক।যেকোন ভাবে। সরকারি–বেসরকারি যেকোনো গ্রহনযোগ্য প্রক্রিয়ায় তদন্ত হোক। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু এসব মিথ্যা নিউজ করে আমাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা যাবে না।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও লিখেন, প্রথম আলো বারবারই এ দেশের সৎ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। আমি সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন। র এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিনের মাথায় আমাকে নিয়ে এই তথ্যসন্ত্রাস কাকতালীয় হতে পারে না।
‘এসব তথ্যসন্ত্রাস দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না‘ উল্লেখ করে এনসিপি নেতা লিখেন, যতদিন দেহে প্রাণ আছে আমি এই দেশে দিল্লির সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবো। তাতে আমার রাজনীতি যদি না থাকে, আমাকে যদি মাইনাস করা হয়, হোক।
আমাদেরকে মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র‘ আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
প্রসঙ্গত, ‘এনসিপি সাধারণ সভা: নানা প্রশ্ন ও অভিযোগের জবাব দিলেন নেতারা’,— এই শিরোনামে প্রথম আলো অনলাইনে একটি প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহর গতকাল মধ্যরাতে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছু সময় পর ‘তথ্য সংকট‘ দেখিয়ে ওই সংবাদটি সংশোধন করে প্রথম আলো। সংশোধনীতে বলা হয়, এই প্রতিবেদনের প্রথম প্রকাশিত শিরোনাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভেতরের অংশবিশেষও পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের পরে আরও কিছু তথ্য জানার পর এই পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হলো।
এসএ