রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাব–পুলিশ–বিজিবিসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত তাদের মরদেহ ঢামেকের মর্গে নিয়ে আসা হয়।
নিহতরা হলেন– ১. সংসদ ভবন থেকে পুলিশ সদস্য মাহফুজুর রহমান (২৪), ২. বাড্ডা থেকে আশরাফুল হাওলাদার (২০), ৩. কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে অজ্ঞাত (২২), ৪. উত্তরা থেকে হাফেজ মো মাহমুদুল হাসান (২৬), ৫. যাত্রাবাড়ী থেকে অজ্ঞাত (৪০) পুলিশ সদস্য, ৬. যাত্রাবাড়ী থেকে অজ্ঞাত (৩০), ৭. যাত্রাবাড়ী থেকে পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেন (৫৭), ৮. মতিঝিল থেকে রাব্বি (২১), ৯. গাজীপুর থেকে পুলিশ সদস্য আব্দুল আলিম (৪৬), ১০. হাতিরঝিল থেকে অজ্ঞাত (৩৫), ১১. যাত্রাবাড়ী থেকে অজ্ঞাত (৩০) পুলিশ সদস্য, ১২. যাত্রাবাড়ী থেকে পুলিশ সদস্য রাসেল মাহমুদ (২১), ১৩. যাত্রাবাড়ী থেকে মনির হোসেন (৪৫), ১৪. উত্তরা পূর্ব থানার এসআই রাসেল (৪৪), ১৫. উত্তরা থেকে অজ্ঞাত (৩৮) পুলিশ সদস্য, ১৬. উত্তরা থেকে অজ্ঞাত (৩২), ১৭. উত্তরা থেকে অজ্ঞাত (৪০), ১৮. গুলশান থেকে আসিফ (১৬), ১৯. কুমিল্লা থেকে পুলিশ সদস্য সুলতান (৩০), ২০. র্যাব সদস্য পুলিশ ইন্সপেক্টর হাসমত আলী (৪০), ২১. কামরাঙ্গীরচর থেকে নুর আলম (২১), ২২. র্যাব সদস্য বিজিবির জেসিও আনোয়ার (৪১), ২৩. গাজীপুর থেকে বিজিবির নায়েক মো. আব্দুল আলিম (৪৫), ২৪. যাত্রাবাড়ী থেকে পুলিশ সদস্য সঞ্জয় কুমার দাস (৩৯), ২৫. উত্তরায় ডিবির ইন্সপেক্টর রাসেল (৩৮), ২৬. বংশাল থেকে শাওন (২২), ২৭. উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল থেকে অজ্ঞাত (৫০) পুলিশ সদস্য, ২৮. মিরপুর থেকে পুলিশ সদস্য রুবেল (২২), ২৯. পোস্তগোলা থেকে মনির (৪৫) ও ৩০. হাতিরঝিল থেকে বাপ্পি আহমেদ (৩৫)।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১২৮ জনসহ আহত হন। এরমধ্যে ১১ জনকে ভর্তি দেয়া হয়েছে এবং জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ৩০ জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে পুলিশ র্যাব বিজিবি সদস্যরা রয়েছে।