ফেনী শহরের মিজান রোড সহ বিভিন্ন এলাকার ড্রেনে জমে আছে পানি। দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকায় সেখানে শেওলা তৈরি হয়েছে। সেই পানি থেকে মশার প্রজননের আশংকা করছেন পথচারী ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রাংক রোডের থানা পুকুর সংলগ্ন স্থান থেকে সোনালী ব্যাংকের সামনে দিয়ে মিজান রোডে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেন রয়েছে। ওই ড্রেনটি ময়লা–আবর্জনায় ভরাট হয়ে নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে ডাবের খোসা সহ ময়লা–আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ড্রেনের পাশ হয়ে সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংকে যাতায়াত করেন গ্রাহকরা। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ, ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী সরকারি পাইলট হাই স্কুল, ফেনী আলীয়া মাদরাসা, শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুল, ডায়াবেটিক হাসপাতালে যাতায়াতকারীরাও সড়কটি ব্যবহার করেন। এতে করে তারা অস্বস্তিতে পড়তে হয়।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে সড়কে উপচে পড়ে। স্কুল–কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা নোংরা কাঁদাপানি মাড়িয়ে পথ চলতে হয়।
আর্য্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে অভিভাবকরা ঝুঁকিতে রয়েছেন উল্লেখ করে সাধারণ সম্পাদক সমর দেবনাথ জানান, এখন চারদিকে ডেঙ্গুর ছড়াছড়ি। এর মধ্যে থানা পুকুরের পাড় ও পাশ্ববর্তী ড্রেনটি ময়লাপানি জমে আছে। ড্রেনটিতে মশার লার্ভাও দেখা যাচ্ছে। সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিজস্ব সুইপার থাকলেও কখনো পরিস্কার করা হয় না বলে তিনি জানান।
সোনালী ব্যাংক ফেনী প্রিন্সিপাল অফিসের ডিজিএম হারুনুর রশিদ জানান, ড্রেনের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় গ্রাহকদের পাশাপাশি কর্মকর্তারাও অসুবিধার পড়েন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে দুইবার পৌরসভার মেয়রকে অবহিত করা হয়েছে।
মিজান রোডে বিকাল থেকে রাত অবধি ফুচকা–চটপটির দোকান বসান কয়েকজন বিক্রেতা। সেখানে সন্ধ্যার পর থেকে পরিবার–পরিজন নিয়ে আসেন। তাদের অনেকে জানান, বিকেল বেলায়ও মশা কামড়ায়। সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব আরও বেড়ে যায়।
ফেনী পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: কৃষ্ণপদ সাহা জানান, মিজান রোডের পশ্চিম অংশে ড্রেনটি নির্মাণে ত্রুটি থাকায় অকার্যকর হয়ে পড়ে। বিষয়টি মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী অবগত হয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি ইতিমধ্যে পুরাতন ড্রেন ভেঙ্গে নতুন করে ড্রেন করার পরিকল্পনা নেন।
ডেঙ্গু বিস্তার ঠেকাতে পৌরসভা ব্যাপক কার্যক্রম চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ড ভিত্তিক মশক নিধন চলমান রয়েছে। প্রতিনিয়তই সব ওয়ার্ডে মশার ওষুধ দিচ্ছি। ঝোপঝাড় পরিষ্কার বা বদ্ধ পানি নিষ্কাশনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত কাজ করছে।
শায়লা/ দীপ্ত নিউজ