কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে ডুবে গেছে রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের আইকন ঝুলন্ত সেতু।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাঙামাটিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। যার কারণে পাহাড়ি ঢল কাপ্তাই হ্রদে নামায় হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে যায় এবং ডুবতে শুরু করে ঝুলন্ত সেতুটি।
খুলনা থেকে আশা পর্যটক রাজেশ জানান, টেলিভিশনে দেখে ঝুলন্ত সেতু দেখতে এসেছি। এখন এসে দেখি সেটি পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। তাই ভয়ে সেতুতে উঠছি না। দূর থেকে দেখতে হচ্ছে। খুবই হতাশ হলাম।
অন্যদিকে ডুবে যাওয়া সেতুতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, সেতুর পাটাতনের উপর পানি উঠেছে প্রায় ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি। পানির চাপে অনেক স্থানেই খুলে গেছে পাটানতের কাঠ। লাগিয়ে দিয়েছে নোটিশ ও লাল পতাকা ফলে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা। তবে অনেকেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সেতুতে
রাঙামাটি ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ–সভাপতি রমজান আলী বলেন, হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে গেছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি যাতে ঝুলন্ত সেতুটি ৩–৫ ফিট উপরে তুলা হয়।
কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারন ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল, কিন্তু ১০৫ এমএসএল হলেই ডুবে যায় এই সেতু। আর কাপ্তাই হ্রদে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ১০৫.৬ এমএসএল পানি রয়েছে বলে জানা যায় কর্ণফূলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি সদর উপজেলার তবলছড়ি এলাকায় নয়নাভিরাম ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুটির অবস্থান। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ১৯৮৬ সালে এই সেতুটি নির্মাণ করে। দুই পাহাড়ের মাঝখানে দুটি পিলারের ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক রাঙামাটি আসে। বর্তমানে সেতুটি রাঙামাটির প্রতীক হিসেবে দেশ–বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ